নিরাপত্তাহীনতায় মুসলিম আধ্যাত্মিক নেতারা
বাংলাদেশে সুফি-দরবেশ-পীরদের মাজার এবং দরবার শরীফে একের পর এক হামলার ঘটনার তদন্ত, বিচার এবং এধরণের ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে ঢাকায় এক ধর্মীয় সমাবেশ থেকে।
দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত ঢাকার এক আধ্যাত্মিক ধর্মীয় নেতার এক অনুসারী এবং সমাবেশের উদ্যোক্তাদের একজন মহিউদ্দীন খান ফারুকী জানিয়েছেন, সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস সত্ত্বেও যেভাবে একের পর এক মুসলিম আধ্যাত্মিক নেতাদের ওপর হামলা হচ্ছে, তাতে তারা উদ্বিগ্ন।
ঢাকার দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের অনুসারী মহিউদ্দীন খান ফারুকী বলছেন সম্প্রতি বিভিন্ন দরবার ও মাজারে জঙ্গীদের যেসব হামলা হয়েছে – যারা একাজ করেছে তাদের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।
“বাংলাদেশে সুফিসম্রাট হুজুর দেওয়ানবাগী শান্তির ইসলামের যে বাণী প্রচার করছেন , কেউ কেউ – সবাই বলব না- কেউ কেউ সেটাকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করে উপস্থাপন করছে। এটা অবশ্যই নিন্দনীয়।”
তিনি বলেন সরকারের কাছে তাদের অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব এদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া ।
তার কথায় যারা “জঙ্গীবাদের নামে” এসব কাজ করছে, তাদের সাথে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই- কিন্তু তারা ইসলামকে ব্যবহার করছে।
“তাদের এই ধর্ম দর্শনটা যে সম্পূর্ণ ভুল – এটার সাথে যে কোরানের সম্পর্ক নাই – রসুলের সম্পর্ক নাই- এই মহাসত্য উপস্থাপনে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।”
তিনি বলেন এইসব অপপ্রচার বন্ধে সরকার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে বললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে এইধরনের ঘটনাগুলো যে একের পর এক ঘটে চলেছে তাতে তারা চিন্তিত।
আধ্যাত্মিক নেতা দেওয়ানবাগীর অনুসারীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন কীনা সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মিঃ ফারুকী বলেন দেশের যে সামগ্রিক চিত্র- বিভিন্ন দরবার শরীফে, বিভিন্ন মাজারে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটছে সরকারের কাছে তাদের দাবি সেগুলোর যেন সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা
মন্তব্য চালু নেই