নিরাপত্তার অজুহাতে বেরোবির ফটক বন্ধে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি)ছাত্রলীগ-স্থানীয় ব্যবসায়ী সংঘর্ষের অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও শুধু নিরাপত্তার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক খুলে দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা ভাঙ্গচুর হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং ফটকটটি অবহেলায় পড়ে রয়েছে ঐ ঘটনার পর থেকে।

ফটকটি বন্ধ থাকায় প্রায় হাফ কিলোমিটার ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয় বলে গেটটি টপকে পারাপার হতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।তবে ফটকটি মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম।

বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গত চার মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দোকন ভাঙচুরের অভিযোগে স্থানীয় পার্কের মোড়স্থ ব্যবসায়ীদের সাথে টানা চার ঘন্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভাঙচুর করে।সেই সংঘর্ষের সময় হতে বন্ধ করে রাখা হয় গেটটি। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তা খুলে দেওয়া হয়নি এখনো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শুভ্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেকদিন হলো গেটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অনেক দূর ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয়। অনেক সময় লাগে ঘুরে আসতে। তেমন কোন নিরাপত্তার অজুহাতও দেখি না। দ্রুত গেটটি খুলে দেয়া দরকার।’

ফটক বন্ধ থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।এমনকি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম উঠেছে।

এদিকে এই গেটের পাশে অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গেটটি বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীরা এগেট দিয়ে তেমন পারাপার হচ্ছে না। কাজেই আমাদেরও ব্যবসা হচ্ছে না। হয়ত গেটটি খুলে দেওয়া থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হতো।’

এ বিষয়ে প্রক্টর মীর তামান্না ছিদ্দীকাকে ফটক খুলে দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলেন,‘আমরা মনে করি এখনো নিরাপত্তা কাটেনি।নিরাপত্তা কাটলেই ফটক খুলে দেওয়ার ব্যবস্খা করা হবে।’

নিরাপত্তার দায়িত্বরত সহকারী রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ চেয়েছে তাই গেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে প্রকৌশল শাখার আমাদের লোকজনদের বলেছি ফটকটি মেরামত করতে। মেরামত হয়ে গেলে অচিরেই গেটটি খুলে দেওয়া হবে।’
প্রধান ফটকের দায়িত্বে খাকা নিরাপত্তা প্রহরিদের একজন বলেন, প্রশাসন আমাদের খুলে দিতে বললে আমরা খুলে দিবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি গেট। এর মধ্যে এক নম্বর (একাডেমিক) ও দুই নম্বর (মুলগেট) গেট দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। কিন্তু একাডেমিক গেটটি বন্ধ রাখায় শুধু দুই নং গেটটি দিয়েই যাতায়াত করছেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই