‘নিজের ঘরের সুইচ নিজেই বন্ধ করি, আপনারাও করুন’

বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথেষ্ট খরচ হয় জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, য়েও তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার আগে বিদ্যুতের সব সুইচ বন্ধ করেন। অন্যরাও যেন এই কাজ করবে।

বুধবার রাজধানীতে জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিদ্যুতের পাশাপাশি পানি ও গ্যাস সাশ্রয়েরও আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু অনেকেই অহেতুক অনেক বিদ্যুৎ অপব্যবহার করি। … কাজেই এভাবে সবাই একটু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যেন হয়, সেটা ঘরে বাইরে সব ক্ষেত্রে, সকলকে এই শিক্ষাটা দেওয়া উচিত।’

বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অফিস আদালতে সবাই যেন বিদ্যুতের সুইচটা নিজেরাই বন্ধ করেন বা অপ্রয়োজনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র না চালান সেই অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ গরম আমি জানি, কিন্তু ঠান্ডাটা যেন সহনশীল থাকে। ২৪ বা ২৫ পর্যন্ত এয়ারকন্ডিশন রাখেন, তাহলে সেটা মোটামুটি সহনশীল হয়।’

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হয়েও ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমি নিজের হাতে বিদ্যুতের সুইচ নিজের হাতেই বন্ধ করে দেই। আমি চাই প্রত্যেকের মাঝে এই মানসিকতাটা থাকতে হবে যে, এই বিদ্যুৎটা আমারই সম্পদ, আমিই একে রক্ষা কর করি বা সাশ্রয় করি ‘

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নিজেরা যদি নিজের হাতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় যদি সুইচটা অফ করেন তাতে লজ্জার কিছু নেই।’

মানুষের মধ্যে অপচয়ের বদঅভ্যাস আছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের অভ্যাস খারাপ আছে। অনেকে মনে করেন, আমি বড় অফিসার, আমি আবার সুইচ অফ করবো কেন। আমার আর্দালি, পিয়ন এসে করবে, নিজের কাজ নিজে করতে কোনা লজ্জার কিছু নেই বলে আমি বিশ্বাস করি।’

পানি ও গ্যাস অপচয় প্রসঙ্গ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পানি অপচয়ও যথেষ্ট হয়। কল ছাড়াই থাকলো, থালা বাটি মাজতেই থাকলাম, বা কাপড় কাঁচতেই থাকলাম বা দাঁত ব্রাশ করতেই থাকলাম, কলের পানি পড়তেই থাকলো, পড়তেই থাকলো, পড়তেই থাকলো।…বা শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে গায়ে সাবান মাখছি, পানি পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি শাওয়ারটা বন্ধ করে রাখি অথবা একটু বালতিতে পানি রাখি, তাহলে কিন্তু তাতে লজ্জার কিছু নেই, ক্ষতি কিছু হয় না, পানিটা সাশ্রয় হয়।

গ্যাস অপচয়ের প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রায়ই দেখি গ্যাসটা বন্ধ করা হয় না। একটু মিটমিট করে জ্বালিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এতে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। কারণ এই সমস্ত ঘরে কিন্তু গ্যাসটা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ এখানে একটা গ্যাসলাইট জ্বালাতে গেলে আগুন ধরে যায় এবং এখানে মানুষ মারা যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৮০টার ওপর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আমাদের বিদ্যুতের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা দিন রাত পরিশ্রম করেছেন। আমি জানি কখনও কখনও রাত ১২টা, একটা দুইটা পর্যন্ত তারা কাজ করেছেন। প্রথমে আলোচনা, তারপর বিদ্যুৎ নির্মাণ এরপর সঞ্চালন দেওয়া-অনেক কষ্টা করেই কিন্তু আমরা আজকের এই জায়গায় এসেছি। সবাই সাশ্রয়ী হবে সেটাই আমরা সবাইকে আহ্বান জানাবো।’



মন্তব্য চালু নেই