নিজের গুলিতেই মারা গেলেন এএসআই জলিল

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আবদুল জলিল নামের পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিজের ব্যবহৃত এসএমজি অস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে রায়পুর থানা কার্যালয়ের মুল ফটকের রাস্তার পাশের একটি চা দোকানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল জলিল জেলা পুলিশ লাইনসের আর্মড ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন।
তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের হরিভল্লবপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।
এদিকে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনায়র সময় লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার নিজেই উপস্থিতি ছিলেন। বিষয়টি তিনি নিজেই তদন্ত করছেন। তদন্ত ছাড়াও এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রায়পুর উপজেলায় ঘন ঘন বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বিভিন্নস্থানে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলার পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য হিসাবে আবদুল জলিলও লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ লাইন থেকে রায়পুরে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তিনি রাত পৌনে ১টার দিকে রায়পুর থানা কার্যালয়ের মূল ফটকের পার্শ্বে রাস্তার পাশের একটি চা দোকানে তার ব্যবহৃত এসএমজি অস্ত্রটি পাশে রেখে চা খেতে বসেন। এ সময় অসাবধানতা বশত তার হাতটি এসএমজি অস্ত্রের ট্রিগারে চাপ লাগলে গুলি বেরিয়ে এসে আবদুল জলিলের শরীরের ডান পাশের গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে দ্রুত লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
পুলিশ এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।



মন্তব্য চালু নেই