নিজের ওপরই হতাশ-বিরক্ত ধর্মসেনা!

রিভিউ কাণ্ডের সাথে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীর নামটিই বেশি জড়িয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন তিনবার আউট হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। এছাড়া তাকে ফেরাতে বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েছে দুইবার। দূর্ভাগ্য, পাঁচবারই টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মঈনের পক্ষে গেছে!

রিভিউ কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে আরও একটি নাম, শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার কুমারা ধর্মসেনা। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউর আবেদনে সারা দিয়ে মঈন আলীকে তিনবার আউট ঘোষণা দেওয়া আম্পায়ার ছিলেন এই লঙ্কানই। কিন্তু তিনবারই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও দেখা গেলো রিভিউ নিয়ে নাটক। এবারও সেই ধর্মসেনা। আগেরদিন ছিলো মঈন আলী বনাম ধর্মসেনা, শুক্রবার আদিল রশিদ বনাম ধর্মসেনা। তাইজুলের একটি এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে ইংলিশ স্পিনারকে আউট ঘোষণা করেন ধর্মসেনা। কিন্তু রিভিউ নেন রশিদ। রিভিউ নিয়ে মঈন আলীর মতো বেঁচে যান রশিদও। ধর্মসেনার আরো একটি সিদ্ধান্ত ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়।

চারটি ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ার পর শুক্রবার নিজের ওপর বিরক্তই হয়ে ওঠেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলের এই আম্পায়ার। তাই তো মাঠের খেলোয়াড়দের মতো হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেলো শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩১ টেস্ট ও ১৪১ ওয়ানডে খেলা সাবেক এই ডানহাতি অলরাউন্ডারকে।

আদিল রশিদ রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর হতাশ হয়ে মাথা নাড়াচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ধর্মসেনা। হয়তো মনে মনে বলে যাচ্ছিলেন- কি হচ্ছে এসব!

চার চারটি ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ার ফলটা কি হবে ভালোই টের পাচ্ছেন ধর্মসেনা। এর জন্য আইসিসির কাছে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। এমনকি কাটা পড়তে পারে পয়েন্টও। সব মিলিয়ে, আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে এটা তার জন্য হয়তো সবচেয়ে বাজে সিরিজই হয়ে থাকবে।



মন্তব্য চালু নেই