নিজেকে রাজাকার ভাবতে পছন্দ বিএনপির বুদ্ধিজীবীদের

বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের রাজাকার হিসেবে ভাবতে বেশি উল্লসিত বোধ করেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

হানিফ বলেন, ‘গতকাল দেখলাম বিএনপিপন্থী তথাকথিত থিঙ্ক ট্যাংকের এক সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমর্থন করতে। তিনি বলেছেন, বেগম জিয়া নাকি একটা মহা কাজ করেছেন। তার এ কথায় আমরা অবাক হয়ে যাই।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তার একটি কলামে লিখেছেন বাংলাদেশে রাজাকার হওয়া সহজ, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে থাকা কঠিন। আজকে এসব বুদ্ধিজীবীর বক্তব্য শুনে তার কথা সত্য বলে মনে হয়েছে। এসব বুদ্ধিজীবী নিজেদের রাজাকার হিসেবে ভাবতে বেশি উল্লসিত হয়। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।’

গতকাল মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতি সায় দিয়ে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

হানিফ বলেন, ‘বেগম জিয়ার বক্তব্য নিয়ে সবাই ধিক্কার জানিয়েছে। দেশের মানুষের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে যতক্ষণ পর্যন্ত বেগম জিয়া তার মন্তব্যের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাইবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।’

হানিফ আরও বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নৈতিকভাবে সরকারকে মেনে নিয়েছে বিএনপি। তাই সরকারের নৈতিকতা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন থাকতে পারে না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ১১ জানুয়ারির জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে বিশ্বের দরবারে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে বাংলাদেশের জনগণের ৮০ শতাংশ শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল। তারা চায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাক।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই