নিজেকে বাঁচানোর জন্য কারও কথাই শুনলেন না কোহলি

এতদিন পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। বিদেশি দল ভারতে খেলতে আসছে আর ল্যাজেগোবরে হয়ে হারছে। ভারতের ক্রিকেটপাগলরা ধন্য ধন্য করেছেন। সবাই মনে করেছিল, বেশ তো মেঘের উপর দিয়ে হাঁটছে ভারতীয় দল।

এই দল তাহলে সত্যি সত্যি বিশ্বের একনম্বর টেস্ট দল! কাগজে কলমে যা লেখা হয়, তার সঙ্গে অনেক সময়েই বাস্তবের মিল থাকে না। এই যেমন ভারত আইসিসি-র র‌্যাংকিং অনুযায়ী একনম্বর দল। কিন্তু স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া ভারতের কঙ্কাল বের করে দিল।

শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই খেলতে এসেছিল ভারতে। অজিদের পরিকল্পনার কাছে হার মানল ভারত। কোথায় গেল বিরাট কোহলিদের সেই পেশিশক্তি প্রদর্শন? পুণেতে না হয় পিচকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো গিয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে কী বলবে?

গোটা একদিনও ব্যাট করতে পারল না ভারত। ১৮৯ রানে শেষ ভারতের প্রথম ইনিংস। এই নাকি ভারতের অতলান্ত ব্যাটিং গভীরতা! কোথায় গেলেন কোহলি? তাঁর ব্যাট তো বোবা হয়ে গেছে।
পুণে টেস্টে বল ছাড়তে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। এ বার ন্যাথান লিয়ঁর বল ছাড়তে গিয়ে এলবিডব্লিউ হলেন কোহলি। ভারত অধিনায়কের নামের পাশে লেখা মাত্র ১২ রান। বাঁচার জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন। তবুও বাঁচতে পারলেন না কোহলি।

পুণে টেস্টের প্রায় পুনরাবৃত্তি ঘটল বেঙ্গালুরুতে। পুণেয় অজি স্পিনার ও’কিফের বলের টার্ন বুঝতে ভুল করেন কোহলি। তার মাশুল গুনতে হয় ভারত অধিনায়ককে। কোহলির স্টাম্প ছিটকে যায়। শনিবার বেঙ্গালুরুতে বোল্ড হওয়ার পরিবর্তে এলবি হলেন। চিন্নাস্বামীতে বলের গতিবিধিই পড়তে পারলেন না।

আম্পায়ারের আউট দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিআরএস নিয়েছিলেন কোহলি। উল্টা দিকে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেশ রাহুল রিভিউ নিতে নিষেধ করেন কোহলিকে। শোনেননি বিরাট। রিভিউতেও সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই