নিজেকে আকর্ষণীয় করতে কোটি টাকা ব্যয়, তবু কেন বয়ফ্রেন্ড পাচ্ছেন না এই ‘সুন্দরী’?

পপ তারকা লেডি গাগার কথায়, তাঁর মতো সুন্দর স্তন নাকি তিনি আর দেখেননি। মডেল হিসেবে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র‌্যাম্পেও হেঁটেছেন। এহেন বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান মডেল কেলি স্টার এখনও পর্যন্ত নিজের মনের মানুষটিকে খুঁজে পেলেন না।
কিন্তু কেন বয়ফ্রেন্ড জুটছে না কেলির? উত্তরটা সহজ। আসলে কেলি একজন রূপান্তরকামী। নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এখনও পর্যন্ত প্রায় একশোটি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন কেলি। খরচ করেছেন আড়াই লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূ্ল্য দেড় কোটি টাকারও বেশি।
কেলির আসল নাম মাইকেল ট্যানহাম। অস্ট্রেলিয়ার পার্থের একটি খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছেন তিনি। খেলাপাগল মাইকেল কৈশোরে একটি চার্চে ধর্মযাজকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু ১৬ বছর বয়সে তিনি স্বীকার করেন, স্তনের প্রতি তাঁর মারাত্মক আকর্ষণ রয়েছে। নিজের শরীরেও স্তন চান তিনি। তিনি যে পুরুষ হয়ে বড় হওয়ার জন্য জন্মাননি, বুঝতে অসুবিধা হয়নি কেলির। এর পরেই তাঁর রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এখন কেলির ৪৬ বছর বয়স। কেলির দাবি, অস্ট্রেলিয়ায় সবথেকে বড় ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টেশন তাঁরই হয়েছে। একটি বিখ্যাত সংবাদপত্রকে কেলি জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর এই রূপান্তর মেনে নেয়নি তাঁর পরিবার। ১৬ বছর বয়সেই লুকিয়ে লুকিয়ে ফিমেল গ্রোথ হরমোন নিতে শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে শুরু হয় পুরুষ থেকে মহিলা হওয়ার চিকিৎসা। বহু বছরের চেষ্টায় ঠোঁট, স্তন, যৌনাঙ্গ পেয়েছেন কেলি। কিন্তু কেলির কথায়, শতাধিক অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর নিজের মতে, স্তন দু’টিকেই নিখুঁতভাবে তৈরি করতে পেরেছেন তিনি।

কিন্তু এত কিছুর পরেও নিজের মনের মানুষটিকে খুঁজে পেয়েছেন কেলি? ‘সুন্দরী’ কেলির কথায়, অনেক পুরুষই তাঁর সঙ্গে একটি রাত কাটাতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি রূপান্তরকামী হওয়ায় কেউই সাহস করে তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। ২০০৫ সালে তাঁর শেষ সম্পর্কটি ভেঙেছিল। তার পরে আর কারো সঙ্গে মনের লেনদেন হয়নি কেলির।



মন্তব্য চালু নেই