নিউজিল্যান্ড উপকূলে মৃত তিমির মিছিল
নিউ জিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগর। সমুদ্রতটের হাঁটু জলে আধডুবো হয়ে ভাসছে শত শত অবয়ব। কী ব্যাপার। কাছে গিয়ে দেখা গেল মৃত প্রাণীগুলো বিশেষ প্রজাতির ডলফিন। স্থানীয় নাম পাইলট তিমি। মসৃণ কালো অবয়বগুলোর বেশিরভাগই প্রাণহীন। দুয়েকটা নড়াচড়া করছে। বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেয়া হলো। তারা সযতন সহযোগীতায় জলচর স্তন্যপায়ীগুলোর বেশ ক’টিকে গভীর সমুদ্রে যেতে সাহায্য করলেন। বাকিরা মরে পড়ে রইলো সাগরতটে।
পাইলট তিমি সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, তারা নিরক্ষরেখার নিচে উষ্ণ জলভাগে বসবাস করে। স্তন্যপায়ী জলচরদের মধ্যে যারা দলবদ্ধ থাকে, তাদের মধ্যে পাইলট তিমি উল্লেখযোগ্য। এদের ভর সর্বোচ্চ ২৭০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬ মিটার। নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রতটে এর আগেও এমন বিপুল সংখ্যক পাইলট তিমিকে দলবদ্ধভাবে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তুলনামূলক বুদ্ধিমান এ প্রাণিগুলো কী কারণে এমন জোটবদ্ধ মৃত্যুবরণ করে তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। সাধারণত জলভাগের অভ্যন্তরে অগ্ন্যুৎপাত বা ভূকম্পন ঘটলে যে জলোচ্ছ্বাস ঘটে, তার শক্তিশালী স্রোত অনেক সময় বিপুল প্রাণিকে ভাসিয়ে কূলে আছড়ে ফেলে। স্বেচ্ছাসেবকদের গণনা অনুসারে ১৯৮ পাইলট তিমি সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়েছিল। এদের মধ্য হতে মারা গেছে ১৪০টি। বাকিরা সমুদ্রে ফিরে গেছে আবার। বেঁচে থাকবে, তেমন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য চালু নেই