নিউইয়র্কে বৈঠক করবেন হাসিনা-মোদি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিউইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার সকালে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে দুই নেতা এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে (নিউইয়র্ক সময়) হোটেল ওয়ালড্রফ এ্যাস্টোরিয়ায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ হোটেলেই এ দুই নেতা অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বুধবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল) শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন।

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০ তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

যুক্তরাষ্ট্র শাখা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুধবার সকালে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। লন্ডনে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করার পর তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কে আসেন।

বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনার পর প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ওয়াল্ডর্ফ এস্টোরিয়া নিউইয়র্কে যাওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি এ হোটেলে অবস্থান করবেন।

এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনকে বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাতিসংঘের পরিবেশ সম্পর্কিত সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের টেকসই উন্নয়নে আইসিটি পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউনেপ) নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনারের কাছ থেকে ‘চ্যাম্পিয়নশীপ অব দি আর্থ এ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।

তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিবের কাছ থেকে ‘আইটিইউ পুরস্কার’ গ্রহণ করবেন।

নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ২৮ সেপ্টেম্বর অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনের উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেবেন।

একই দিনে তিনি অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আয়োজিত সংবর্ধনা ও ভোজসভায় যোগ দেবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। তিনি বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, সুশাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, অভিবাসী কর্মীদের অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষসমূহ অর্জনের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে একদিন যাত্রাবিরতি করবেন এবং সেখানে ২ অক্টোবর তাঁকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেয়া হবে। তিনি ৩ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই