নারীর বিশ্বাসের আর কেউ থাকছে না! এবার ভাসুরের হাতে ধর্ষণের শিকার হলো গৃহবধূ

বিশ্বাস আর নির্ভরতার সবই কি হারাতে হচ্ছে নারীদের? আর কাউকেই কি বিশ্বাস করা যাবে না? কোথায় যাবে নারী, কোথায় খুঁজে পাবে সসম্মান নিরাপত্তা? এমন প্রশ্ন নির্যাতিত একজন গৃহবধূর।

বৃহস্পতিবার সকালে এক নারী নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় মামলা করতে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামীর বড় ভাই তাকে ধর্ষণ করেছেন। নিখোঁজ ছোট ভাইয়ের খোঁজ দেয়ার কথা বলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে নিয়ে যান তাকে। এরপর ধর্ষণের শিকার হন।

ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই গৃহবধূ। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ অভিযানে নামে আসামিদের গ্রেপ্তারে।

ধর্ষক ভাসুরের নাম আব্দুল মতিন। তিনি নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চরইসলামপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তার ছোটভাইয়ের নাম আব্দুল লতিফ।

মামলার বরাত দিয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন আব্দুল লতিফ। তাকে খোঁজ করতে তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নিখোঁজ লতিফের খোঁজ পাওয়া গেছে- এ তথ্য জানিয়ে গত ৬ মে রাতে লতিফের স্ত্রীকে ফোন করেন বড় ভাই মতিন। পরে ছোটভাইয়ের স্ত্রীকে বন্দরের একরামপুর এলাকায় আকিজ সিমেন্ট কারখানার সমানে ডেকে আনা হয়। সেখান থেকে কৌশলে গৃহবধূকে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ভাসুর আব্দুল মতিন ধর্ষণ করেন।

মামলায় আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ও তার সহযোগী নাজমুল, আমির ও কাইউমের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

ঘটনার পর স্থানীয় নারীদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই নারীরা শিকার হচ্ছেন যৌন নির্যাতনের। কি শিশু, কি বালিকা, কি কিশোরী কেউ বাদ যাচ্ছে না এসব থেকে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে ঘরের মানুষ, নির্ভরতার মানুষগুলো যখন যৌন নির্যাতনকারী হিসেবে আবির্ভুত হয়। তখন নারীর আর কোনো পথ থাকে না। যেন সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই