নারীর গোপনাঙ্গে চিকিৎসকের হাত অতঃপর…!

নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন নারী রোগীকে চিকিৎসার নামে গোপনাঙ্গে হাত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে রোগী ডাক্তারকে চড়-থাপ্পড় মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডাক্তারকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করলেও ডাক্তারের কোন নিয়োগপত্র সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি।

গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় সেন্ট্রাল জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গতকাল ভোরে শহরের জামতলা এলাকার গৃহবধূ ৪-৫টি ঘুমের ওষুধ সেবন করে। পরে স্বজনরা তাকে অচেতন অবস্থায় সেন্ট্রাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জাকির হোসেন সম্রাট চিকিৎসার নামে ওই গৃহবধূর শরীরের গোপনাঙ্গে হাত দেয়।

ওই সময়েই নারীটির চেতনা ফিরে আসলে তিনি চিকিৎসক সম্রাটকে চড় থাপ্পড় দেন। পরে রোগিণীর স্বজনরা হাসপাতালে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।

এ বিষয়ে চিকিৎসক জাকির হোসেন সম্রাটের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভুল স্বীকার করে জানান, গৃহবধূটির শ্বাসকষ্ট থাকায় তিনি বুকে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে দেখেছিলেন। চিকিৎসক সম্রাট ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে দাবি করেন।

এদিকে প্রাইভেট ওই হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসকের নিয়োগপত্র দেখতে চাইলে প্রথমে তারা নিয়োগপত্র রয়েছে বলে জানালেও পরে তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। হাসপাতালটির পরিচালক মো. হান্নান মিয়া জানান, ওই চিকিৎসককে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ধরনের ঘটনায় আমরা দুঃখিত। চিকিৎসক সম্রাটকে ডা. রাজীব নামের অপর এক চিকিৎসকের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত তার নিয়োগপত্র রাখা হয়নি। নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ওই চিকিৎসক ও প্রাইভেট হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল জেনারেল হাসপাতালটিতে এর আগেও ভুল চিকিৎসাসহ নানা অভিযোগে জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।



মন্তব্য চালু নেই