নারায়ণ চন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীত্ব কেন অবৈধ নয়?

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় সরকারি আদেশ অমান্য করে ২১০টি স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা নেয়ায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দনের পদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা না নিতে সরকারের প্রজ্ঞাপন মানতে সংশ্লিষ্টদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রোববার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. ইউনুস আলী আকন্দ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা না নিতে গত ৯ ডিসেম্বর ও ২৭ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, এখন থেকে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে সংবর্ধনা গ্রহণ করলে সংবর্ধিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর গত ৪ মে ‘২১০ বিদ্যালয় বন্ধ রেখে প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা’ শীর্ষক একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সংবাদগুলো আদালতের নজরে এনে আবেদন করলে আদালত মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ আদেশ দেয়।

একই সঙ্গে রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সচিব, খুলনা বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দনকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই