নাচের চেয়ারম্যান গানের বন্যা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪-২০১৫ সেশনে কলা অনুষদের অধীনে নৃত্যকলা বিভাগ নামে নতুন একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। নৃত্যশিল্পীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এমন একটি বিভাগ করার। সেই দাবি পূরণ হলো। এখন পর্যন্ত এ বিভাগে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু ঝামেলা তৈরি হয়েছে বিভাগটির চেয়ারম্যানকে নিয়ে। এই বিভাগের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান গানের মানুষ! এটা কীভাবে সম্ভব? এ প্রশ্নটা এখন সবার। শিক্ষার্থী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও একই প্রশ্ন।

এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ আকতারুজ্জামানের বলেন, ‘প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এটা নতুন বিভাগ। নতুন বিভাগ চালু করতে গেলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে, সীমাবদ্ধতা থাকে। গানের মানুষ কেনো নাচের বিভাগের চেয়ারম্যান হবে এ প্রশ্নটা যৌক্তিক। কিন্তু ওনাকে আমরা সাংগঠনিক বিষয়গুলো দেখভালের জন্য নিয়েছি।’

ডিনের মতো করে একই কথা শোনালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সাহিত্য সংস্কৃতির জায়গা থেকে পড়াশোনা করার জন্য অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। কিন্তু নৃত্য বিষয়ক পড়াশোনা করার জন্য এমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ছিল না। আমরা শুরু করলাম মাত্র। চেয়ারম্যান হিসেবে বন্যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা আরো কয়েকজন নাচের শিক্ষক নিয়োগ দেবো। আর এ নিয়োগের বিষয়গুলো বন্যা ম্যাডামই দেখবেন।’

এ বিষয়ে রেজওয়ানা চৌধুরীর বন্যার মন্তব্য নেয়ার জন্য তিনবার যোগাযোগ করা হয়। প্রথমদিন তাকে ফোন করলে বলেন, তিনদিন পর ফোন করতে। তিনদিন পর আবার ফোন করলে তিনি বলেন তিনি খুব ব্যস্ত। তৃতীয়বার ফোন করার পর তিনি সমাবর্তনের পর যোগাযোগ করতে বলেন।

গানের মানুষ কীভাবে নৃত্যকলা বিভাগ পরিচালনা করবেন আর কী নাচ শেখাবেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ বলেন, ‘দেখুন, যে লোক গাড়ি চালাতে পারে সে সব ধরণের গাড়ি চালাতে পারবে। কিন্তু তাকে যদি উড়োজাহাজ বা লঞ্চ চালাতে দেয়া হয় তাহলে তো সে দুর্ঘটনা ঘটাবে। আমি বলবো, নাচের মানুষ দিয়েই নৃত্যকলা বিভাগটি পরিচালনা করা উচিৎ। শিক্ষার্থীদের জন্যই এ কাজটি করা জরুরি।’



মন্তব্য চালু নেই