না’গঞ্জের স্কুলশিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বেরোবিতে মানববন্ধন

এইচ.এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : নারায়নগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষকবৃন্দ। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের গত বুধবারের ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকবৃন্দ। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আর এম হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধানের নের্তৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, একটি সভ্য দেশে একজন শিক্ষকের এমন অপমান মেনে নেওয়া যায় না। দেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়ন কর্মকা-কে বাধাগ্রস্ত করতেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। শিক্ষকরা বলেন, জনসম্মুখে একজন শিক্ষককে এভাবে কান ধরে উঠা-বসা করানো মানে গোটা জাতিকে কান ধরানো বলে আমরা মনে করি। এটাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার সুযোগ নেই। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিক্ষকবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নিন্দনীয় এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার নিশ্চিত করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধানের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি ড. আর এম হাফিজুর রহমান, সাবেক সভপতি অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক, গণিত বিভাগের প্রভাষক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক জুবায়ের ইবনে তাহের প্র্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার ঐ শিক্ষককে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের সামনে কান ধরে ওঠবস করানো হয় এবং তাঁকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা যায়। এর পর সারাদেশে তীব্র ক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই