নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালালেন মা, কি ঘটলো শিশুটির ভাগ্যে?

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নবজাতককে (কন্যাশিশু) রেখে পালিয়ে গেছেন গর্ভধারিণী মা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। কি ঘটলো সেই শিশু কন্যার ভাগ্যে?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে প্রায় ২৫ বছর বয়সী এক নারী নবজাতককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় নার্সদের কক্ষে নিয়ে যান। তিনি বাথরুম থেকে কাপড় পরিবর্তনের কথা বলে শিশুটিকে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নূরজাহান বেগমের কোলে দেন। এরপর থেকে আর ওই নারীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সিনিয়র স্টাফ নার্স জিনাত আরা জানান, শিশুটি জন্মের ২/৩ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জন্মের পর নাভী কাটাসহ আনুষঙ্গিক কাজ তখনো করা হয়নি। আমরা শিশুটির নাভী কেটে ও শরীর মুছে অক্সিজেন লাগিয়ে দেই। পরে তরল দুধের ব্যবস্থা করি।

তিনি জানান, শিশুটির নাম রাখা হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌসী স্বর্ণা। শিশুটিকে আমি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অপর সিনিয়র নার্স সুরাইয়া আক্তার শেলীসহ অনেকেই শিশুটিকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম সাকিল পুলিশ ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. কবির আহমেদ বলেন, শিশুটিকে লালন-পালনের জন্য নার্স সুরাইয়া আক্তার শেলী আবেদন করেছেন। আমরা শিশুটির হেফাজত ও লালন- পালনের জন্য ৩ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে সাধারণ ডায়েরির (জিডি) মাধ্যমে আবেদনকারীকে বুঝিয়ে দিতে থানা পুলিশের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, সমাজসেবা অফিসের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করে ৩ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে লালন-পালনের জন্য নার্স সুরাইয়া আক্তার শেলীর কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই