নতুন রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে আবারো শুমারি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য (আরাকান) থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে একযোগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে এ শুমারি চলবে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে এ শুমারি শুরু হবে জানান জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
এ ছাড়া একই দিন থেকে চট্টগ্রামের লোহাগড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদমেও এ শুমারি চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়াহিদুর রহমান বলেন, গত বছরে ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন সংস্থা একেক রকম পরিসংখ্যানের কথা বলছে।
তিনি জানান, সরকার নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার প্রকৃত সংখ্যা জানতে মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে একযোগে রোহিঙ্গা শুমারির কাজ শুরু করবে। পাশাপাশি কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলোর (উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১টি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় ১টি) বাইরে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরও এ শুমারিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে।
ওয়াহিদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে শুমারির কাজ। শুমারির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটিতে স্থানীয় ইউএনওদের কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে শুমারিতে অংশ নেওয়া প্রতি দলে ২ জন করে ১৭০টি দল কাজ করবে।
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে মাসব্যাপী কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় আরো একটি শুমারি করা হয়েছিল।
মন্তব্য চালু নেই