ধোঁয়াশায় কমছে যৌন ক্ষমতা!
শীত এসে গেছে। এই সময়ে বাতাসে ধুলিবালির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। যে কারণে কুয়াশা দেখার সৌভাগ্য না হলেও ধোঁয়াশা দেখার সুযোগ হয় নগরবাসীদের।
সম্প্রতি দিওয়ালি উৎসবের সময় পটকা ও অন্যান্য আতশবাজি থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। এর ফলে স্থানীয় প্রায় ১৮শ বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটে। দিল্লির এই বায়ু দূষণ সচেতন সবার মধ্যে চিন্তার উদ্রেক করেছে।
আমাদের রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও এই ধোঁয়াশার দেখা মিলছে।
শহরের বাসিন্দারা ধোঁয়াশার প্রভাবে চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট এগুলো যে হয় তা বেশ টের পেতে শুরু করেছেন।
তবে শুধু এখানেই শেষ নয়। শরীরের পক্ষে কতটা মারাত্মক হতে পারে এই ধোঁয়াশা, সেদিকে নজর ঘোরালে চোখ কপালে উঠবে।
প্রজনন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকট বায়ু দূষণ মানবজাতির সঙ্গমের ইচ্ছেকে নষ্ট করে দেয়। বিষবায়ুর কারণে শরীরে হ্রাস পায় টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেনের মাত্রা। এর ফলে প্রায় ৩০ শতাংশ যৌনক্রিয়ার ক্ষমতা লোপ পায়।
বিষাক্ত কণা শ্বাস নেয়ার সময় শরীরে ঢুকে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট করে। বিষাক্ত করে তোলে শুক্রানুকে। প্রেগনেন্সির জন্যও বিশেষ ক্ষতিকারক এই ধোঁয়াশা।
এছাড়া বায়ু দূষণের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট ও প্রাণহানিরও আশংকা রয়েছে। এশিয়ায় দ্রুত হারে বাড়ছে বায়ু দূষণের কারণে মৃতের সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এশিয়ার ৬৫ শতাংশ মৃত্যুই হয় বায়ু দূষণের কারণে।
ভারতে প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে মৃত্যু হয় ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ জনের। আমেরিকায় প্রতি বছর বায়ু দূষণে মারা যান ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
১৯৫২ সালে লন্ডনের প্রবল ধোঁয়াশা কেড়ে নিয়েছিল ৮ হাজার মানুষের প্রাণ।
ধোঁয়াশার শিকার মানুষের ক্যান্সার, হৃদরোগ, অ্যাজমা ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো অসুখ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : এই সময়
মন্তব্য চালু নেই