ধর্ষিত কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সালিশ-বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের (ইউপি) হাতে নির্যাতিত কিশোরীর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর কমলনগর উপজেলার স্থানীয় চর মার্টিন ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তখন চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মুখ না খুললেও দেড় মাস পর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহল এ নিয়ে মুখ খোলে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, কমলনগর উপজেলার স্থানীয় চর মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউছুফ আলী (মিয়া ভাই) সালিশ-বৈঠকে ধর্ষিত কিশোরীসহ দুজনকে নির্যাতন করছেন। নির্যাতিত ওই দুজন উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে শ্যালিকা-দুলাভাই।

ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে সালিশ-বৈঠক চলছে। বৈঠক চলাকালে চেয়ারম্যান লাঠি নিয়ে এক যুবককে বেদম পেটায়। একপর্যায়ে ওই যুবক মাটিতে লুটে পড়ে।

এ সময় ওই যুবককে এলোপাতাড়ি লাথি দিতে দেখা যায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১৩-১৪ বছরের এক কিশোরীকেও একইভাবে নির্যাতন করতে দেখা গেছে। চেয়ারম্যান মারধর করার আগেও বৈঠকে উপস্থিত আরও এক ব্যক্তি ওই যুবককে মারধর করে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, ঘরজামাই মো.আবদুল আলী ওরফে কালু (৩৫) স্ত্রীর ছোট বোনকে (শ্যালিকা) নিয়ে চট্টগ্রাম পালিয়ে যান। পরে পরিবারের লোকজন তাদের চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ নিয়ে সালিশ-বৈঠক হয়। বৈঠকে শ্যালিকা-দুলাভাইকে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে দুলাভাইকে পুলিশে দেন সালিশকারীরা।

এ বিষয়ে চর মার্টিন ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী (মিয়া ভাই) বলেন, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে মাদকসেবী ওই ঘরজামাই শ্যালিকাকে পালিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খারাপ আচরণ করে। যে কারণে এক-দুইটা চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. হুমায়ুন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রেজাউল বলেন, দুলাভাই কৌশলে শ্যালিকাকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কমলনগর থানায় মামলা করেছে কিশোরীর বাবা। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান নির্যাতন করেছে, এমন কোনো অভিযোগ কেউ করেনি।

জানতে চাইলে কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চেয়ারম্যান নির্যাতন করেছে ফেসবুকে এমন ভিডিও তার নজরে আসেনি। নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই