ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে কিশোরীর লাফ

ভারতের পাঞ্জাবে চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির ঘটনায় লাফিয়ে পড়ে এক কিশোরীর (১৪) মৃত্যু হয়েছে। মোগা জেলায় বুধবার বিকেলে ঘটা ওই ঘটনায় কিশোরীটির মা (৩৮) আহত হয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।

এক প্রান্তিক কৃষকের স্ত্রী তার এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে গুরুদয়ারা পরিদর্শনে যায়। সেখান থেকে পাবলিক বাসে চড়ে ফেরার পথে গিল গ্রামের কাছে একদল উত্ত্যক্তকারী মা ও মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। বাসটিতে এ সময় বেশি যাত্রী ছিল না।

উত্ত্যক্তকারীরা উভয়কে শারীরিকভাবে হয়রানি করা শুরু করলে কিশোরীর মা বাসের কন্ডাক্টরকে বিষয়টি জানায়। কন্ডাক্টর সে সময় উল্টো উত্ত্যক্তকারীদের দলে যোগ দিয়ে যৌন হয়রানি করতে থাকে।

এক পর্যায়ে মেয়েটির মা চালককে গাড়ি থামাতে অনুরোধ করে। কিন্তু বাসচালক তা না শুনে আরও জোরে গাড়ি চালানো শুরু করেন।

এ সময় বাসের বাকি যাত্রীরা ওই নারীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। এক পর্যায়ে বাসটি মোড় নেওয়ার সময় যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে মা ও মেয়ে বাস থেকে লাফ দেয়। বাসে থাকা কিশোর ছেলেটিকে পরবর্তী সময়ে নামিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। কিশোরীটির মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১২ ঘণ্টা পর তার জ্ঞান ফিরলেও বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানানো হয়েছে।

ওই বাসটি পাঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলের মালিকানাধীন অরবিট এ্যাভিয়েশনের।

এ ঘটনায় বাসটির চালক, কন্ডাক্টর ও ক্লিনারকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়েটির মা সুস্থ হলে তার জবানবন্দী নেওয়া হবে।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই