‘ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করেছি’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ফেরিওয়ালা আরশাদুর রহমান (৩৮) ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

বুধবার তোবা মনি নামের ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরশাদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রাতেই তিনি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বুধবার রাতেই আরশাদুর শিশু তোবা মনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রের্কড করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ওসি মো. মঈনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে কাসাইট এলাকার একটি ওয়াজ-মাহফিল থেকে বাড়িতে ফিরছিল শিশু তোবা মনি। বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তোবা মনির পিছু নেন আরশাদুর। পথে একটি সীম বাগানের কাছে এসে শিশুটিকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণ করেন তিনি। শিশুটিকে ছেড়ে দিলে সমস্যা হতে পারে ভেবে তিনি উড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে শিশুটির বাবা মাওলানা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আরশাদুরকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তোবার বাবা মাওলানা শফিকুল ইসলাম জানান, আরশাদুর দীর্ঘদিন ধরেই তোবা মনিকে উত্যক্ত করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় তাকে টাকা-পয়সা দেয়ার চেষ্টা করতেন, চকলেট কিনে দিতেন। আরশাদুর মাছিহাতা এলাকায় গত ৩ বছর ধরে ভাড়া থেকে ফিতা-চুড়ি বিক্রি করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামে।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বাড়ির পাশে একটি ওয়াজ-মাহফিল রাতে বাড়ি না ফেরায় তোবাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হয়। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। পরে বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কাসাইট গ্রামের একটি বেগুন ক্ষেত থেকে শিশু তোবা মনি শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই