ধর্মের অপব্যাখ্যা রুখে দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, সকল ধর্মের মূলবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কোনো ধর্মই সমর্থন করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম।

মঙ্গলবার ঈদুল আজহায় বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এই আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পালনে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর ত্যাগ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোরবানি আমাদের আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে গড়ে উঠে পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা। ভালবাসা ও ত্যাগের এই আদর্শ আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ কমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, কোরবানির শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত করে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করি-এটাই হোক এবারের ঈদের অঙ্গীকার।

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, ধর্ম যার যার-উৎসব সবার। এটাই সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য।

সকালে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়ার পর বঙ্গভবনে ফিরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাশিদা খানম ও পরিবারের সদস্যরা।

ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সপরিবারে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, তিন বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চ পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।



মন্তব্য চালু নেই