ধর্মীয় উৎসবে বিশ্বে পণ্যমূল্য কমলেও দেশে বাড়ে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় উৎসবের সময় জিনিসপত্রের দাম সাধারণত কমে যায় ৷বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে রমজান আসলে প্রত্যেক জিনিসের দাম কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র পুরো উল্টো।

রমজান, ঈদ বা পূজা এলেই খুচরা, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটার উৎসবে মেতে উঠেন। ফলে রমজান নাজাতের মাস হলেও অনেকের কাছে এটি আতংকের মাসে পরিণত হচ্ছে। কারণ তাদের জীবন-জীবিকা এ মাসে কঠিন হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পবিত্র রমজান, ঈদ, পূজাকে সামনে রেখে প্রতিবছর মৌসুমি ব্যবসায়ী ও মুজদদারের আবির্ভাব ঘটে। এসব ব্যবসায়ীরা চিনি, ছোলা, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা সাজিয়ে থাকেন।

কথিত আছে, এ ব্যবসায়ীরা নাকি নিজেরাই বলে থাকেন, রমজানে এক মাস ব্যবসা করব, আর সারা বছর আরামে কাটাব! রমজান মুসলিম বিশ্বের জন্য আল্লাহর নিয়ামত এবং এটি সংযম ও নাজাতের মাস, পাপমুক্তির মাস হলেও এ মৌসুমি ব্যবসায়ী নামধারী মূল্য সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে জনজীবন হয়ে ওঠে যন্ত্রণাদায়ক।

অথচ রমজান উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এমনকি ইউরোপের জার্মানীতেও রমজানের ব্যবহার্য্য সব পণ্যসামগ্রী এবং পবিত্র বড়দিন উপলক্ষে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোতে বাজারে বিশাল মূল্যহ্রাস প্রথা চালু আছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও পূজার সময় মূল্যহ্রাসসহ নানা প্রথা চালু আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী পর্ষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ইসলামে অতিরিক্ত মূল্য আদায়কে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু মজুদদার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কখনও কখনও পণ্যে দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দেয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে শুধু সরকারকে দোষারোপ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ভোক্তাদেরও সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে এটি ঠিক যে, সরকারের মনিটরিংয়ের দুর্বলতার সুযোগে আর দ্রব্যমূল্য মনিটরিংয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের কর্তাব্যক্তিদের হেয়ালিপনার কারণে কিছু মুনাফাখোর, মজুদদার, সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ালেও পরে ওই পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য কমলেও তারা আর কমায় না।জাগো নিউজ



মন্তব্য চালু নেই