ধনীতে শীর্ষ হয়েও সমালোচিত সালমান এফ রহমান
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম আসায় আলোচিত হওয়ার পরিবর্তে সমালোচিতই বেশি হচ্ছেন ব্যাবসায়ী সালমান এফ রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সালমান এফ রহমানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিশেষ করে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে অনেকেই লিখছেন, লাখো মানুষকে পথে বসিয়েই তিনি এমন অর্থের পাহাড় গড়েছেন।
সাঈম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘কেউ কি বলবেন, কতজন মানুষকে পথে বসিয়ে দশ হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়?’ সাঈমের ফেসবুক বন্ধু ফারুক তার (সাঈমের) এই পোস্টের জবাবে লিখেছেন, ‘এর সঠিক কোন হিসাব দেয়া যাবে না। আমার মতো অনেকেই এর ভুক্তভোগী।’
বৃহস্পতিবার চীনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের নাম আসে।
তবে হুরুন গ্লোবালের ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেছেন, ‘চীনা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল বলেছে, আমার সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে এ সম্পদের হিসাব করেছে, তা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের শীর্ষ এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে সমালোচনা করছেন অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষকরাও।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আপনারা শুনেছেন, তিনি (সালমান এফ রহমান) বাংলাদেশের সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তি হয়েছেন। সেই লোকের জন্য শেয়ারবাজারে কত লাখ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই।’
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে শ্রমজীবী সংঘের তৃতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজসম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমানের ধনী হওয়ার বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এক-একটা কোম্পানি করে। প্রতারণার জন্য সেখানে আরও কিছু লোককে নিয়োগ করে। মাসে মাসে তাদের বেতন দেয়। তারা ওইখানে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে। তারপর প্রচুর শেয়ার বিক্রি হয়। বিক্রি হওয়ার পর শেয়ারের টাকা নিয়ে একটা পর্যায়ে গায়েব করে দেয়। এমনকি কিছুদিন আগে তিনি (সালমান এফ রহমান) জিএমজি এয়ারলাইন্স খুলেছিলেন। শেয়ারের মাধ্যমে হাজার কোটি মেরে দিয়ে সেখান থেকে সরে পড়লেন। জিএমজি এয়ারলাইনস এখন আর নেই।’
আনু মুহাম্মদ এমন মন্তব্য করার পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পরে। অনেকেই তার (আনু মুহাম্মদ) বক্তব্য শেয়ার দিয়ে সালমান এফ রমহানের অর্থের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন।
মন্তব্য চালু নেই