দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

প্রথম সেশনে ১ উইকেটে ১১৮ রান তোলা বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে ৮৭ রান তুলতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট।

মাত্র ৩১ রানের মধ্যে সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারিয়ে তাই চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।

মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : চা বিরতিতে ৫৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২০৫/৬।

ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান (৫) ও শুভাগত হোম (২)।

ফিরে গেছেন সাব্বির রহমান (০), মুশফিকুর রহিম (৪), মাহমুদউল্লাহ (১৩), মুমিনুল হক (৬৬), তামিম ইকবাল (১০৪), ইমরুল কায়েস (১)।

তিন ওয়ানডে ও প্রথম টেস্টের পর এই সিরিজে প্রথমবারের মতো আজ টস জিতেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টস জিতে বেছে নেন ব্যাটিং। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি স্বাগতিকদের।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বাজে একটি শট খেলে আউট হয়ে যান ইমরুল কায়েস। অফ স্টাম্পের বাইরে ক্রিস ওকসের শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে বেন ডাকেটকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (৩ বলে ১)। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১ উইকেটে ১ রান।

শুরুতেই ইমরুল কায়েসকে হারানোর পর তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। তামিম শুরটা করেন বেশ সতর্কতার সঙ্গে। প্রথম রান নেন নিজের মোকাবিলা করা ২০তম বলে। তবে এর পরেই আগ্রাসি হয়ে ওঠেন। অভিষিক্ত জাফর আনসারির একই ওভারে মারেন তিন চার।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে ওই আনসারির বল ফাইন লেগে পাঠিয়ে ৩ রান নিয়ে ৬০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। চার মেরে রানের খাতা খোলা মুমিনুলও তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। ফলে ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৮৪।

ইংলিশ বোলারদের বেশ ভালোভাবে সামলে লাঞ্চের আগেই দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়েন তামিম-মুমিনুল। ৮৫ মিনিটে ১২৩ বলে এই জুটি গড়েন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি। এরপর বাংলাদেশ লাঞ্চ বিরতিতে যায় ১ উইকেটে ১১৮ রানে।

ব্যক্তিগত ৪৪ রানে নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন, বিরতি থেকে ফিরেই ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। স্পিনার আদিল রশিদের বলে চার মেরে ৭১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি। এটা তার ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি।

খানিক বাদে তামিম তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। সেটিও আবার রাজকীয়ভাবে। ব্যক্তিগত ৯৩ রান থেকে মঈন আলীর পরপর দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে ১৩৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তামিম। এটা তার ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয়।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস আর বড় করতে পারেননি তামিম। মঈন আলীর পরের ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান। তার আগে ১৪৭ বলে ১২টি চারের সাহায্যে খেলেন ১০৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

খানিক বাদে ফিরে যান মুমিনুলও। ওই মঈনের বলেই বোল্ড হয়ে যান এই বাঁহাতি। ১১১ বলে ১০টি চারের সাহায্যে মুমিনুল করেন ৬৬ রান।

চারে নামা মাহমুদউল্লাহ মুখোমুখি হওয়া পঞ্চম বলেই রশিদকে সীমানার ওপাড়ে আছড়ে ফেলেছিলেন কিন্তু। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৬ বলে ১৩ রান করে বেন স্টোকসের বলে অ্যালিস্টার কুককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তখন বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৯৬।

বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। পেসার শফিউল ইসলামের পরিবর্তে খেলছেন অফ স্পিনার শুভাগত হোম। অর্থাৎ এই টেস্টে এক পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। একমাত্র পেসার হিসেবে রয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। দলে চার স্পিনার।

ইংল্যান্ড দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে বিশ্রামে রেখে খেলানো হচ্ছে আরেক পেসার স্টিভেন ফিনকে। স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির জায়গায় খেলছেন স্পিন অলরাউন্ডার জাফর আনসারি।



মন্তব্য চালু নেই