দেড় ঘন্টার ব্যবধানে কীটনাশক বিষপান ও ট্যাবলেট খেয়ে ২স্কুল ছাত্রীসহ ৪জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি!
বুধবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে নওগাঁর পত্নীতলায় একই দিনে কীটনাশক বিষপান ও ট্যাবলেট খেয়ে ২স্কুল ছাত্রীসহ ৪জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, জেলার ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণ পাড়া ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামের মৃত- মজির উদ্দিনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন (৩২) তরল কীটনাশক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। শাখাওয়াতের নিকট আত্মীয়রা জানায়, পারিবারিক জমি জমা সংক্রান্ত কলহের জেরে বাড়ির সকলের অজান্তে সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা টের পায় ও তাৎক্ষণিকভাবে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের গোপিনগর গ্রামের মৃত- মনির উদ্দিনের পুত্র বৃদ্ধ তাছির উদ্দিন (৫০) ঔষধ ও বিষের বোতল একই স্থানে থাকায় অজান্তে (ঔষধ মনে করে ভুল বশত) তরল কীটনাশক বোতলের এক সিপি পান করলে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টির লক্ষণ বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো আনে। উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের পূর্ব পাটিচরা গ্রামের বেলাল হোসেনের কন্যা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুন (১৪) প্রেম ঘাটিত কারণে অভিমানে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল (ফেমিকন) এক পাতার মোট ২৮টি ট্যাবলেট পানিতে গুলে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জান্নাতুনের সহপাঠিরা হাসপাতালে দেখতে এসে এ প্রতিবেদককে জানায়, বন্ধুর সঙ্গে প্রেম-ভালবাসার বিষয়ে কথাকাটাকাটির জেরেই এমন ঘটনা ঘটায়। তবে তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা জান্নাতুনের বিষয়ে মুখ খোলেনি এবং কি কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় তা কেউ পরিস্কার নয় বলে দাবি করেছেন।
অপরদিকে, উপজেলার কাঁটাবাড়ি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক পূর্ণ চন্দ্রের মেয়ে ৯ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী পল্লবী (১৫) বাড়ির সকলের অজান্তে কীটনাশক তরল বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পল্লবীর বাবা জানায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দুই মেয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্কবশত কারণে অভিমানে এমন ঘটনা ঘটায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক নাসরিন আক্তার বলেন, মাত্র দেড় ঘন্টার ব্যবধানে কীটনাশক বিষপান ও ট্যাবলেট খেয়ে ৪জন রোগি এর আগে কর্মরত অবস্থায় এ হাসপাতালে কখনো ভর্তি হওয়ার রেকর্ড জানা আমার নেই।
পত্নীতলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মজিদ উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই