দেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে ৪১ শিশুর মৃত্যু

দেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এ হিসাবে প্রতিদিন ৪১ শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। তবে সচেতন হলে এর মধ্যে ৯ হাজার শিশুকে বাঁচানো সম্ভব, যাদের বয়স ১ থেকে ৪ বৎসর।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন রিসার্স বাংলাদেশ (CIPRB) কর্তৃক বাস্তবায়িত সলিড (সেভিং অব লাইভস ফ্রম ড্রাইনিং) প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

জানানো হয়, বিশ্বে প্রতি বছর ৩ লাখ ৭২ হাজার শিশুর পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ধরনের মৃত্যুর ৯০ শতাংশের বেশি ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। বাংলাদেশে প্রতি বছর এ সংখ্যা ১৫ হাজার। যাদের মধ্যে ৯ হাজার শিশুর বয়স ১ থেকে ৪ বছর।

সেমিনারে বলা হয়, পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালিত আঁচল কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে সারাদেশে বাস্তবায়ন করে ১ থেকে ৪ বছরের ওই ৯ হাজার শিশুর জীবন বাঁচানো এখনই সময়। সরকার, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ এ বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিআইপিআরবি’র পরিচালক ডা. আমিনুর রহমান। এছাড়া জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ওলা কুনলে অ্যালোঙ্গে, সিআইপিআরবি’র সিনিয়র পরিচালক সামস এল আরেফিন, সুমনা শারমিন সালাম সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

এছাড়া সেমিনারে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিহালক অধ্যাপক এইচ এম এনায়েত হুসাইন, সিআইপিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম ফজলুর রহমান, সিআইপিআরবি’র পরিচালক ডা. আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, সলিড প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৭টি উপজেলায় ৭৫ হাজারের বেশি শিশুকে আঁচল (শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র) এবং প্লে-পেন এ রাখা হয়। এসব শিশুর বয়স ৯ থেকে ৩৬ মাস।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু আঁচল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ কমে যায়।



মন্তব্য চালু নেই