দেশে আইএস নেই, আইএসের অনুগামী আছে

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমাদের দেশে আইএস নেই, তবে আইএসের অনুগামী রয়েছে। আইএসের উপস্থিতির কথা বলে যারা আমাদের ঘাড়ের উপর চেপে বসতে চেয়েছে, এখন তাদের দেশেই আইএসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অর্থের সাহায্যে দেশে জঙ্গি গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তারা বর্তমানে গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছে। তাদের হামলার শিকার হচ্ছে পুরোহিত, ধর্মগুরু, যাজক, বৌদ্ধভিক্ষু, মাজারের খাদেম, পির, খৃষ্টান সম্প্রদায়ের লোক ও সমাজের সংখ্যালঘু মানুষ। এই আক্রমণ কোনো একক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে নয়, গোটা দেশের বিরুদ্ধে। এ অজুহাতে ইইউ এখন আমাদের উপর ভ্রমণ নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে। যাতে বিদেশিরা এদেশে ভ্রমনে না আসে।’

ব্লগারদের লেখায় ধর্মবিরোধী কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্লাগার হত্যা হলেই পুলিশ আগে খোঁজে তিনি ধর্মবিরোধী কিছু লিখেছেন কিনা। যখন তা খোঁজা হয় তখন হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে চলে যায়। আমি ব্লাগারদের লেখা পড়েছি, এখানে মুক্তমনের প্রতিফল আছে। কিন্তু ধর্মবিরোধী কোনো কিছু আমার চোখে পড়েনি।’

বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতির যে দর্শন তা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারিনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী সেই দর্শনই প্রতিপালন করেছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। যে বাংলাদেশ খাদ্যের জন্য পরো মুখাপেক্ষী থাকত। সেই বাংলাদেশ এখন রাপ্তানি করে। তাই মানুষের সুফল বিবেচনা করেই বাজেট প্রণয়ন করা উচিৎ।’

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘অর্থনীতির সমিতির সমীক্ষা অনুসারে, এদেশের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ। এতো সংখ্যক দরিদ্র মানুষ নিয়ে সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, ধনীদের মধ্যে অনেকে সুপার ধনী তৈরি হয়েছে। যারা লুটপাটের মাধ্যমে অর্থের মালিক হচ্ছেন। ফলে দেশের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্যও বেড়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই