দেশের মাথাপিছু ঋণ দুই মাসেই দ্বিগুণ!
স্বাধীনতা-পরবর্তী অর্থবছর থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত, অর্থাৎ ৪৩ অর্থবছরে বিভিন্ন দাতাদেশ বা সংস্থার কাছ থেকে মোট ৯১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ ১৫ বছরে তিন গুণ বেড়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষে মাথাপিছু ঋণ ২৬ হাজার ১৫২ টাকা। ২০০০-০১ অর্থবছরে মাথাপিছু ঋণ ছিল নয় হাজার ১১৪ টাকা।
তবে দুই মাস আগে (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে নূরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছিলেন, দেশের জনগণের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৬৯ মার্কিন ডলার বা ১৩ হাজার ১৬০ টাকা।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী সংসদকে জানান, স্বাধীনতার পর থেকে পাওয়া বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৬১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৯ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান।
আবুল মাল আবদুল মুহিত আরো জানান, একই সময়ে ডিসবার্সমেন্ট হয়েছে ৬৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১৮২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রায় ১,৪১৯ দশমিক ২৯ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১৬৯ দশমিক শূন্য শূন্য মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ১৬০ টাকা।
মন্তব্য চালু নেই