দেশের বাইরে থাকা পাত্রের সাথে বিয়ে হচ্ছে, মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো

অনেক পাত্রীর অভিভাবকের কাছে দেশের বাইরে বসবাসরত পাত্রের মূল্য অনেক বেশি। অনেকেই ধারণা করেন নিজের মেয়ে দেশের বাইরে থাকা পাত্রের সাথে বেশ সুখেই জীবনযাপন করতে পারবে। অনেক মেয়েরাও একই ধরণের চিন্তা করেন। নিজের দেশ থেকে দূরে আরেকটি দেশে আরামদায়ক জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন।

কারো ক্ষেত্রে হয়তো স্বপ্ন সত্যি হয়, আবার কারো ক্ষেত্রে হয় না। তাই দেশের বাইরে থাকা পাত্রের সাথে বিয়ের চিন্তা ভাবনা করলে অনেকগুলো বিষয় ভাবতে হবে এবং করতে হবে। সকল দিক ভেবে চিন্তে এগোলে জীবনযাপন সহজ এবং সুন্দর হতে পারে। তবে বিপদের আশংকাও কম নয়!

১) পাত্রের অতীত ও বর্তমানের সবকিছুর ভালো করে খোঁজ খবর নিন
পাত্রের অতীত এবং বর্তমানের সকল বিষয় সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে খোঁজ খবর করুন। সবকিছু সঠিক মনে হলে এবং সব ধরণের তথ্য বিবেচনা করে তবেই বিয়েতে মত দিন।

২) প্রতিদিন সঠিকভাবে যোগাযোগের বিষয়টি মাথায় রাখুন
দেশের বাইরে থাকা একজন পাত্রের সাথে বিয়ে হয়ে গেলে কিংবা বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখার ব্যাপারটিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেবেন। প্রথমেই ঠিক করে নিন দুজনের জন্য উপযোগী সময় যখন যোগাযোগ করতে পারবেন একেঅপরের সাথে।

৩) তিনি কি ধরণের জীবনযাপন করেন সে ব্যাপারগুলো বোঝার চেষ্টা করুন
যেহেতু তিনি দেশের বাইরে থাকেন সেহেতু আপনার সাথে তার জীবনযাপনে রয়েছে অনেক বড় একটি পার্থক্য। তার সেই লাইফস্টাইল সম্পর্কে যতোটা সম্ভব জানার চেষ্টা করুন এবং বুঝে নিন। এতে আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে।

৪) নিজেকে অপর একটি দেশে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তৈরি করুন
আপনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তবে পাত্র যে দেশে আছেন সে দেশের সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকুন। জানতে থাকুন সে দেশের নানা বিষয় সম্পর্কে। এতে করে পরবর্তীতে সমস্যায় পরতে হবে না।

৫) নিজের ক্যারিয়ারের দিকগুলো ভেবে দেখুন
বিদেশে শুধুমাত্র স্বামীর উপার্জনে সংসার চালানোর চিন্তা একেবারে দূর করে দিন। আর যদি সত্যিই আপনি কিছু না করেন তাহলে আপনার জীবন অনেক বেশি বোরিং হয়ে যাবে। তাই শুরুতেই সে দেশে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার বিষয়টি ভেবে দেখুন এবং সম্ভাব্য দিকগুলোতে নজর দিন।

৬) ভিসা প্রসেসিংএর কাজে দেরি করবেন না
অনেক সময় দেখা যায় বিয়ে হয়ে যাওয়ার অনেক পর পর্যন্ত শুধুমাত্র ভিসা না পাবার কারণে স্বামী-স্ত্রীকে দুই দেশে আলাদা থাকতে হয়। তাই বিয়ে ঠিক হওয়ার পর আর দেরি নয়। ভিসা প্রসেসিংএর কাজে লেগে যাবেন দ্রুত।

৭) বিষয়টি অনেক ধৈর্যের তা বুঝে নিয়ে কাজ করুন
দেশের বাইরের একজন মানুষের সাথে সম্পর্ক, তার সাথে যোগাযোগ রাখা, ভিসার কাজ এবং তার পরের নানা কাজগুলো সবই অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। তাই মাথায় রাখুন যে আপনাকে অধৈর্য হলে চলবে না।



মন্তব্য চালু নেই