দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে : খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় চলছে। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বাপর বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে।

বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠনো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন জোট সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে।’

তিনি বলেন, ‘দুঃশাসনের অচলায়তন তৈরি করতে গিয়ে তারা প্রতিবাদী জনগণের উপর নামিয়ে আনে পৈশাচিক উৎপীড়ণ। যারা সত্য উচ্চারণ করতে চায় তাদের, বিশেষ করে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবিসহ নাগরিক সমাজের যেই হোকনা কেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কারাবাস, শারিরিকভাবে নির্যাতনসহ জখম এবং হত্যারও শিকার হতে হয়।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মনে হয় ৩৬৫ দিনই এদেশের কোথাও না কোথাও মানুষের মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। এই নৈরাজ্যকর দুঃশাসনের ছোবল থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের সকলকে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের সম্মিলিত আওয়াজ আহ্বান করে বলেন, ‘আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন, গোষ্ঠী, বর্ণ ও জাতিগত সংঘাতে অবলীলায় খুন ও গুপ্ত হত্যার শিকার হচ্ছে এবং অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণায় বলা হয়েছে-বিশ্বের সব জাতির সকল মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাকে তাচ্ছিল্য করে নিজ দেশের জনগণের ওপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত আক্রমণ।’

শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য জনমতকে অগ্রাহ্য করে গণবিরোধী শাসকগোষ্ঠী জনগণের মানবাধিকারের তোয়াক্কা করে না বলেও বিবৃতিতে দাবি করেন খালেদা জিয়া।



মন্তব্য চালু নেই