দেখুন বিশ্বের বিচিত্র রংবাহারি কিছু যাত্রীছাউনি (ছবিসহ)
‘আর্ভিভাব’ শব্দটিই এমন যার সঙ্গে রয়েছে ভাবের সম্পর্ক। এই ভাব আর আর্বিভাবের সম্পর্ক গোটা বিশ্বময়। প্রযুক্তির আর্বিভাবেই ভাবজাত হাজারো পেশার জন্ম হয়েছে এই নির্দিষ্ট গোলার্ধে। যেমন ধরা যাক আধুনিক যুগের প্রভাবশালী আবিস্কারের মধ্যে গাড়ির কথাই। গাড়ি আবিস্কারের ফলে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ খুব অল্প সময়ের মধ্যে হলেও, মানুষের প্রত্যাহিক জীবনযাত্রার সময়ের হিসেবের মধ্যে বাসও কিন্তু তার জন্য নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে। তাইতো সময় করে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় মানুষকে। আর এই বাসের জন্য অপেক্ষা করার বিড়ম্বনা ও যাত্রীদের একটু আরামের জন্যই তৈরি হয় যাত্রীছাউনির।
আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির ইতিহাসে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ এক অধ্যায়। বিশ্ববাসীর সামনে একটি বিশাল দেশ কিভাবে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তার জলজ্যান্ত নিদর্শন হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন আজ না থাকলেও, সেই আমলে গড়া এমন অনেক স্থাপত্য নিদর্শন আছে যা আমাদের সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সোভিয়েত আমলের এই স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম হলো, সেই আমলে যাত্রীদের জন্য বানানো বিচিত্র রংবাহারি সব যাত্রীছাউনি।
১৯৯০ সালের পর খণ্ডিত সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাবেক এই নিদর্শনগুলো সরিয়ে ফেলা হলেও, ভাগ্যগুনেই হোক আর দর্শনগুনেই হোক ওই যাত্রীছাউনিগুলো বেঁচে যায়। এই নিদর্শনগুলোর মধ্যে কোনোটি দেখে মনে হতে পারে ভিন্নগ্রহবাসীর কোনো যান অথবা নিছকই ফেলনা কোনো বস্তুর আকৃতি। সম্প্রতি কানাডার আলোকচিত্রী ক্রিস্টোফার হারউগ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে এই বিচিত্র যাত্রীছাউনির ছবি তুলেছেন।
মন্তব্য চালু নেই