দূর্বাঘাস: প্রকৃতির প্রিজারভেটিভ
দূর্বাঘাসকে প্রকৃতির প্রিজারভেটিভ হিসেবে শনাক্ত করেছেন একদল বিজ্ঞানী। তারা এটিকে ইকো-ফ্রেন্ডলি ফুড প্রিজারভেটিভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এই গবেষণা দলের যৌথ ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের শাস্ত্র ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাডভান্স বায়োম্যাটেরিয়ালস এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্স ইন ইন্ডিয়ান সিস্টেম অব মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। ড. পি মিরা এবং ড. পি ভিন্দার তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষকদল জানান, তারা গরুর দুধের দই নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। তারা দেখতে পেয়েছেন দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রিজারভেটিভ রয়েছে। এরপর গবেষকদল দূর্বাঘাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। দইয়ের মতো দূর্বাঘাসেও পিজারভেটিভ রয়েছে। যা খাবার অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারে।
গবেষকদল দূর্বাঘাসের পাশাপাশি লেমন গ্রাস ও ব্যাম্বু গ্রাস গবেষণার জন্য নিয়েছিলেন। কিন্তু দূর্বাঘাসের মতো আশানুরূপ ফল পাননি। দূর্বাঘাসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হাইড্রো প্রোবাইসিটি আছে। যা খাবার সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।
প্রাচীন যুগে মানুষ খাবার সংরক্ষণ এবং ঔষধি গুণের জন্য নানা কাজে দূর্বাঘাস ব্যবহার করতো। দূর্বাঘাসের বৈজ্ঞানিক নাম Cynodon dactylon Pers। এটি Gramineas পরিবারভুক্ত।
মন্তব্য চালু নেই