দুশ্চিন্তা কমাতে যা খাবেন

খাবারও দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই তা কাজ করে। যখন দুশ্চিন্তায় ভোগেন তখন শরীর রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে মন ও শরীর দুটোই খারাপ হতে থাকে।

তবে কিছু খাবার আছে, যা খেলে শরীরের পাশাপাশি মনকে চাঙ্গা হতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডিস জানিয়েছে সে সব খাবারের কথা।

কমলা

কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি দুশ্চিন্তার কারণে শরীরে ছড়িয়ে পড়া ক্ষতিকর ‘ফ্রি র‌্যাডিক্যাল’গুলোর সঙ্গেও লড়াই করে এই ভিটামিন।

গ্রিন টি

দুশ্চিন্তা কমাতে গ্রিন টি বেশ কার্যকর। গ্রিন টির মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রাকৃতিক উপায়ে দুশ্চিন্তা কমায়। শরীর ও মনে একধরনের প্রশান্তির অনুভব ছড়িযে দিতে পারে এই পানীয়। যারা দৈনিক গ্রিন টি পান করেন তাদের সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেশি এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। গ্রিন টি পছন্দ না হলে, ব্ল্যাক টি’ও খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি ধূমপায়ী এবং মদ্যপায়ীদের জন্যও বেশ উপকারী।

স্যামন মাছ

স্যামন মাছের স্বাস্থ্যগুণের জন্য সুপরিচিত এবং প্রোটিনের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। পাশাপাশি মানসিক চাপ দূর করতেও কার্যকর। এতে আছে মস্তিষ্কের সেরোটনিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান, যা মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিসপ্তাহে এই মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য উত্তম। এছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত মাছ যেমন- টুনা, সার্ডিনস, ম্যাকরেল ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে।

পালংশাক

শাকজাতীয় সবজিগুলো ভিটামিন এ, সি ও বি-তে ভরপুর। যা সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার পরে। এতে আরও থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমায়। দৈনিক এক কাপ পালংশাক উল্ল্যেখযোগ্য হারে মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্থিরতা আনতে সক্ষম। এটি কাঁচা বা রান্না দুইভাবেই খেতে পারবেন।

কাঠবাদাম

হতাশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অপর একটি কার্যকরী খাদ্য হচ্ছে কাঠবাদাম। এটি ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর তেল ও মিনারেলে ভরপুর। মিনারেল সব ধরনের এনার্জিকে প্রভাবিত করে। কর্মক্ষমতা বাড়াতে, দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোন নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে কাঠবাদাম উপকারী।

ডার্ক চকলেট

দেড় আউন্স পরিমাণ ডার্ক চকলেট উল্লেখযোগ্য হারে দুশ্চিন্তা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোন কমাতে সক্ষম। হতাশা, বিরক্তিভাব এবং অবসাদ মোকাবেলা করার উপাদানও আছে এতে। একগ্লাস চকলেট দুধেও একই উপকার পাওয়া যায়।

ডিম

সকালের নাস্তায় ডিম বেশ জনপ্রিয়। এরমধ্যে থাকা প্রোটিন হতাশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে। তাই প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।

কলা

আপনি কি হতাশায় ভুগছেন তবে ২ থেকে ৩টি কলা খেয়ে নিন। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ট্রাইফোনেন আছে যা শরীরের এনার্জি লেবেল বৃদ্ধি করে।



মন্তব্য চালু নেই