দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের উপকুলবাসীর ঝুঁকি কমাতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় ৩৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডাইরেক্টর জোহানেস জাট এতে স্বাক্ষর করেন।
সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন জানান, বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় উপকুলীয় জেলা বরিশাল, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে ৫৫২টি নতুন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ৪৫০টি বিদ্যমান কেন্দ্রের উন্নয়ন, সংযোগকারী সড়ক এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকা ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
তিনি আরো জানান, ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৩৮ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং বার্ষিক দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিজ চার্জ দিতে হবে। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের আওতায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
জোহানেস জাট বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার চরম অবস্থা বারবার দেখা দিতে পারে। বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকাবাসীর জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদী দুর্যোগ প্রস্তুতি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
মন্তব্য চালু নেই