দুর্নীতির অভিযোগ : বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ইউজিসির তদন্ত ২৬ থেকে ২৭ ডিসেম্বর

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) শীঘ্রই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম নূর-উন- নবী বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শুরু করবে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর আখতার হোসেনের নেতৃত্বে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রফেসর নবী বিরুদ্ধে একটি সরেজমিন তদন্ত কার্যক্রম চালাবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বেরোবি ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়ার পর ইউজিসি এ রকম উদ্যোগ গ্রহণ করলো।

অধ্যাপক হোসেন বলেন,”আমরা একটি সরেজমিন তদন্তের জন্য যাবো এবং এ জন্য একটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ তদন্তের সময় সকল কাগজপত্র পরীক্ষা করা হবে । গত বছরের ৬ মার্চ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান এর কাছে বেরোবি ভিসি বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ দায়ের করেন। তারই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একিট বিলম্বিত জবাবে ইউজিসি গত ২ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মিজানুর রহমান ও ইউজিসি অতিরিক্ত পরিচালক ফখরুল ইসলাম কে কমিটি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আর এম হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধানের চার মাসের একটি স্প্যানের মধ্যে কমিটি শুধুমাত্র অভিযোগকারীদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন। প্রধানত পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়ার পর উপাচার্যের অনিয়মমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হয় ইউজিসি ।
যোগাযোগ করা হলে বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে তা সত্য এবং ইউজিসি এ ব্যাপারে তদন্ত কার্যক্রম চালাবে। সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলাদেশে এমন কোনো দৃষ্টান্ত নাই যে একজন ভিসি টেন্ডারবাজির সহিত জড়িত কিন্তু, আমাদের ভিসির বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুর্নীতি ও অন্যান্য বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত আছেন বলে জানান তিনি। তদন্ত সাপেক্ষে উপাচার্যের বিরৃদ্ধে যথাযখ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
প্রফেসর নবীর বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতের ফলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অচলাবস্থা তৈরি হয়, ১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত, পুলিশ দায়ের করা মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী হয়রানি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের।

নবী অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক হিসেবে ভুয়া সার্টিফিকেট ধারক নিয়োগ, অবৈধভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে জামায়াত অনুসারী জাহাঙ্গীর আলম নিয়োগ, রেজিস্ট্রার পদে পরিবর্তন আনার সরাসরি অভিযোগ, এলোমেলোভাবে (ছয় জনকে ৩৪ মাসে মেয়াদে নিবন্ধকের দায়িত্ব কারামুক্ত ভিসি) এর, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য মসজিদ ও ছাত্রাবাসে খোলার বিলম্ব.সিনেট অকার্যকর, কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান মধ্যে লাঠি ও অনিয়মের পোস্টিং ,নিয়ম বহির্ভুতভাবে উপার্জন উত্যাদির অভিযোগ উঠে।

ভিসি একটি ধর্ষণকারীর পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন বলে একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে.। তিনি একজন ধর্শনের দায়ে অভিযুক্ত কর্মীকে পদায়ন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি লেুকাতে অসুস্থ প্রচেষ্টা এবং যারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদের লাঞ্ছনা করার জন্য একটি চলমান সন্ত্রাসী দলকে চলমান রেখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু শিক্ষক দাবি করেন যে, অধ্যাপক নবী বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল আত্মসাৎ এবং দুর্নীতি ও অন্যান্য বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, ইউজিসি তার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের একটি প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে প্রফেসর নবী বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক বলে মনে হয় এবং এ জন্য ভিসির সঙ্গে ‘সমঝোতা’’ হয়েছে. উল্লেখ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নবী আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ নিয়ে বেরোবির ভিসি হন। কিন্তু একটি প্রভাবশালী ঢাবি শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, তিনি (নবী) এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে তার স্বাক্ষর প্রদানে অস্বীকৃতি জানান যারা এক এগারো আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়।
সূত্র: দ্য ডেইলি সান



মন্তব্য চালু নেই