দুদক সচিব মাকসুদুলকে প্রত্যাহারে সুপারিশ

কমিশনের সচিব পদ থেকে মো. মাকসুদুল হাসান খানকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কমিশনের সঙ্গে দুদক সচিবের মতবিরোধের জের ধরে এ প্রত্যাহারের সুপাশি করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রত্যাহার সংক্রান্ত চিঠি (ডিও লেটার) সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠান হয়েছে।

চিঠিতে বর্তমান সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খানকে অপসারণ করে নতুন সচিব নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কমিশন বিষয়টি অস্বীকার করলেও মঙ্গলবার দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, দুদক সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খানের সঙ্গে কমিশনের বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ রয়েছে। সর্বশেষ রবিবার কমিশনের ৪৭ কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয়ে কমিশন অনুমোদন করলেও তাতে স্বাক্ষর করেননি দুদক সচিব। এ নিয়ে মতবিরোধ তুঙ্গে ওঠে।

সূত্র আরও জানায়, ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুল হাসান খান। সম্প্রতি তিনি সচিব পদে পদোন্নতি পান। কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মিডিয়াকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতেন। এমনকি দুদকের নিয়মিত মাসিক ব্রিফিংয়েও অংশ নিতেন না তিনি।

সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ক্ষমতার বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত, নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ, বদলি, মামলা ও চার্জশিট অনুমোদন ইত্যাদি বিষয়ে অনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমরা পাঠায়নি, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তও আমরা নেয়নি।’

দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘কমিশনের সচিব প্রত্যাহারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আসেনি। এ সংক্রান্ত কোনো কিছু হলে আমি অবশ্যই জানব।’

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বিষয়টি চেয়ারম্যান ও প্রশাসন দফতরের। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’



মন্তব্য চালু নেই