দুই মাসের মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার নার্স নিয়োগ : পিএসসি
দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে সব বিসিএস পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন পিএসসি। আর্থিক স্বাধীনতার অভাবই পিএসসির গতিশীলতার প্রধান বাধা বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ সাদিক।
তিনি বলেছেন, চিকিৎসকরা যদি চিকিৎসার বাইরে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন না করেন সেক্ষেত্রে পরীক্ষার নম্বর ৫শ থেকে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা আছে।
বহু কাঠখড় পুড়িয়ে মেধার মানদণ্ড বিচার বিশ্লেষণ করেই একজন শিক্ষার্থীকে পার হতে হয় বিসিএস পরীক্ষার যজ্ঞ। বিশাল এই প্রক্রিয়া পার হতে সময় লাগে ২ বছরের উপরে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া দূর করতে নতুন এক রোডম্যাপ করেছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন পিএসসি। শিগগিরই বিসিএস পরীক্ষার সব ফলাফল প্রক্রিয়া অটোমেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।
ডক্টর মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আমাদের পরীক্ষার খাতা যে সম্মানিত পরীক্ষকরা দেখেন তারা খাতা বাড়িতে নিয়ে যান এবং সেখানে তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একজন পরীক্ষকও যদি খাতা সময়মতো না দেন তাহলে আমি পুরো পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করতে পারি না।
“যদি আমাদের আর্থিক স্বাধীনতা আরও বেশি থাকতো, আমরা যদি সম্মানি বাড়াতে পারতাম তাহলে তারাই হয়তো এসে পিএসসিতে খাতা দেখতেন। তাহলে এটি আরও তরান্বিত হতো।”
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা যদি একবছরের মধ্যে এটি করতে পারি আমরা মনে করি এটি একটি বড় কাজ হবে। এবং তাতে আমরা মনে করি জানুয়ারিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে যদি আমরা ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের আগে ফলাফল দিতে পারি তাহলে আমরা মনে করবো যে কাজটি তরান্বিত হয়েছে।
বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে শূন্য পদ পূরণে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগের ৭ বছরে অর্থাৎ ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২ হাজার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এভাবে সরকারি নিয়োগ চার গুণ বাড়ার কথা জানিয়েছে পিএসসি।
আর চিকিৎসা পেশার সঙ্গে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কোন সামঞ্জস্য না থাকার কথা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেছেন, ডাক্তাররা যদি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।
ডক্টর মোহাম্মদ সাদিক বলেন, একজন চিকিৎসক শুধু চিকিৎসা করেন তা নয়, তিনি একই সঙ্গে প্রশাসনের দায়িত্বও পালন করেন। প্রশাসনিক যে দায়িত্ব তিনি পালন করবেন তারজন্য সাধারণ জ্ঞানের যে প্রশ্নগুলো থাকে সেগুলো তাকে উত্তীর্ণ হয়ে আসতে হয়। যদি এরকমটি আমরা করতে পারি, যারা শুধুমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ করবেন তাদের ক্ষেত্রে সিলেবাস ছোট হবে। সেক্ষেত্রে তারা শুধু চিকিৎসা শাস্ত্রেই কাজ করবেন। তারা হয়তো কেউ শিক্ষক হবেন, প্রফেসর হবেন, তারা হয়তো প্রশাসনিক দায়িত্বে যাবেন না।
আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এবারই প্রথম নন ক্যাডার প্রায় ৯শ শিক্ষককে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছে পিএসসি।
মন্তব্য চালু নেই