দুই ভাইয়ের মাথা আলাদা করল বিজ্ঞান, কীভাবে?

বিরল থেকে বিরলতম অস্ত্রোপচার। বাঁচার আশা একেবারে ক্ষীণ। কিন্তু টানা ২০ ঘণ্টা চিকিত্সকদের নিরলস পরিশ্রমে দু’দুটি খুদে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসে। একটি অস্ত্রোপচার এবং দু’দুটি প্রাণ! কী ভাবে? ঘটনাটি ঘটেছে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে মন্তেফিওর হাসপাতালে। তেরো মাসের যমজ অ্যানিয়াস এবং জর্ডন জন্মেছিল জোড়া মাথা নিয়ে। জন্মের পর থেকেই শুরু বেঁচে থাকার মরণ পণ লড়াই।

শরীরের বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের মস্তিস্কের আকার বাড়তে থাকে। সন্তানের এমন অসহায় দিনযাপনে নিরুপায় হয়ে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন তাদের মা-বাবা নিকোল ও ক্রিস্টিয়ান। তাঁরা জানতেন তাঁদের দ্বিতীয় যমজ সন্তান হয়তো আর ফিরবে না। অস্ত্রোপচার চলাকালীন শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় ওয়েটিং রুমে বসেছিলেন তাঁরা। ‘যতক্ষণ না চিকিত্সকরা অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসচ্ছেন, চোখের জল খুব কষ্টে ধরে রেখেছি, এমনকী চিকিত্সকদের থ্যাঙ্ক ইউ বলতেও ভুলে গিয়েছিলাম,— নিকোল বলেন। অবশেষে অ্যানিয়াস এবং জর্ডনের মস্তিস্ক সফল ভাবে অস্ত্রোপচার হয়েছে এই সুখবর চিকিত্সকদের কাছ থেকে শোনার পর হাসপাতালের সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে অপারেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত অ্যানিয়াস ও জর্ডনের নানা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তাদের পরিবারের লোকজন।-আনন্দবাজার



মন্তব্য চালু নেই