দুই জিপিএ-৫ নিয়েও মেডিকেলে ভর্তিতে দুশ্চিন্তা

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা শেষ হতে দু’দিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যেই অনলাইনে ৮৬ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী দু’দিনে আবেদনকারীর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ রোববার জাগোনিউজকে জানান, গত বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একই দিন একই সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল কম-বেশি ৮৪ হাজার।

তিনি আরো বলেন, আবেদনের সময়সীমা ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত অর্থাৎ এখনও দু’দিন বাকি থাকলেও এখনই গত বছরের চেয়ে বেশি, ৮৬ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

তবে এবার মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে হচ্ছে না। আগামী ৭ অক্টোবর কেবল সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আবদুর রশীদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক-যোগ্যতা গত বছর জিপিএ-৮ থাকলেও এবার তা বৃদ্ধি করে জিপিএ-৯ করা হয়। আবেদনকারীর সংখ্যা খুব বেশি হলে ৮০ হাজার হতে পারে প্রাথমিক ধারণা এমন থাকলেও এখন তারা মনে করছেন এ সংখ্যা ৯০ হাজার স্পর্শ করতে পারে।

তবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ বলেন, এবার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না থাকলে সরকারি মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১২ হাজার বেশি হওয়ায় ‘ডাবল’ জিপিএ-৫ পেয়েও বহু শিক্ষার্থী দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

এসএসসি-এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ ছাড়া কেন সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে- জানতে চাইলে তারা বলেন, এরআগে ভর্তি পরীক্ষা ২০০ নম্বরের হলেও এবার হবে ৩০০ নম্বরের। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে মোট ২০০ নম্বর নির্ধারণ (এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ১৫ গুণ অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৭৫ ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ২৫ গুণ অর্থাৎ ১২৫) করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ১০০ ও এসএসসি ও এইচএসসির ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের মধ্যে হিসাব করে জাতীয় মেধাতালিকা প্রণীত হবে। ফলে যাদের জিপিএ কম থাকলে তারা এমনিতেই পিছিয়ে পড়বেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে দেশে বর্তমানে ১০০টি মেডিকেল (সরকারি ৩০, বেসরকারি ৬৪ ও আমর্ড ফোর্সেস ৬টি) ও ৩৩টি ডেন্টাল (৯টি সরকারি ও ২৪টি বেসরকারি) কলেজ রয়েছে। এমবিবিএসে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৬৭৯ ও বিডিএসে ১ হাজার ৮৩২টি।

সরকারি মোট ৩০টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ২শ ১২টি। তার মধ্যে সাধারণ কোটায় ৩ হাজার ১শ ২৮টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৪টি, পার্বত্য এলাকার উপজাতি কোটায় ৯টি ও পার্বত্য এলাকার অউপজাতি কোটায় ৩টি ও অন্যান্য জেলার উপজাতিদের জন্য ৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই