‘দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন খালেদা’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘দুঃশাসনের’ বিরুদ্ধে এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে লড়াই করে যাচ্ছেন।

তার নেতৃত্বে রাজনৈতিক সংগ্রামে সামিল হতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।

১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সপ্তম ‘কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে বুধবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। কারামুক্তি উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে নিহত করার পর ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জনগণের কেড়ে নেয়া অধিকার পূনরুদ্ধার করার লক্ষে শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন।

বিএনপির মূখপাত্র বলেন, সেই থেকে তিনি এই দেশে সকল অগণতান্ত্রিক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন এবং জনগণ তাঁকে ‘আপোষহীন’ নেত্রীর অভিধায় অভিষিক্ত করেছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার অবিচল সংগ্রাম চক্রান্তকারী কোন শক্তিই তাঁকে পরাভূত করতে পারেনি।

দীর্ঘ ৯ বছরের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা পূনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে তার শাসনামলে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত করেন।’

তিনি বলেন, দেশী-বিদেশি চক্রান্তকারীরা তাঁর (খালেদা জিয়া) কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে না পেরে নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ২০০৭ সালে সংবিধান বর্হিভূতভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারো নতুন খেলায় মেতে উঠেছিলো।

মির্জা আলমগীর বলেন, এরই অংশ হিসেবে ওই বছরে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে গ্রেফতার করে। মাইনাস টু তত্ত্বসহ নানা অপকৌশল অবলম্বন করে ও অপপ্রচার চালিয়ে খালেদা জিয়াকে তার স্বদেশ ও জনগণের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।

কিন্তু জনগণের অকুন্ঠ সমর্থন ও আস্থা এবং দেশ ও জনগণের প্রতি খালেদা জিয়ার দৃঢ় কমিটমেন্টে ষড়যন্ত্রকারীদের কুটকৌশল ব্যর্থ হয়ে যায় এবং এক বছর পরে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।



মন্তব্য চালু নেই