সাগর-রুনি হত্যা : ৫ বছরেও হয়নি মামলার কোনো সুরাহা
সাগর রুনী হত্যা মামলার ৫ বছর পূর্তি ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১২ সালের এই দিনে ঘরে ঢুকে এই সাংবাদিক দম্পতিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরদিন সকালে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৫ বছর কেটে গেছে। র্যাব পুলিশ এই মামলার কোনো সুরাহা করতে পারেনি। ফলে সাগর-রুনীর পরিবার ও সাংবাদিক মহলে এনিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে।
শনিবার সাগর-রুনী হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে। এদিন সাংবাদিক সমাজ একযোগে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবিতে প্রতিবাদ জানাবে।
২০১৫ সালে আদালতের নির্দেশে র্যাবের কাছে এ মামলার তদন্তভার অর্পন করা হয়। র্যাব এ পর্যন্ত ৪৬ বার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল জন্য সময় নিয়েছে। আগামী ২১ মার্চ আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সাগর-রুনীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। তৎকালীন স্বরষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার ক্লু উদঘাটন করে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পারেন নি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর সাগর-রুনীর হত্যাকারীরা পার পাবেনা বলে হুঙ্কার ছাড়েন। সাংবাদিকরা আন্দোলনে নামে। অজ্ঞাত কারনে সে আন্দোলনেও ভাটা পড়ে। দ্বিধাবিভক্ত সাংবাদিক নেতারা পিছু হটে। র্যব আলামত সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাব এ পাঠায়। কিন্তু কোনো ফলাফল নেই ৫ বছরে।
এ ব্যাপারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানি এক বিবৃতিতে শনিবার সকাল ১০ টায় সাগর-রুনী হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত সাংবাদিক সমাবশে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। নেতারা বলেছেন, সাগর-রুনী হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আর কালক্ষেপন করতে দেয়া হবেনা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা একের পর এক কর্মসূচী অব্যাহত রাখবো।
মন্তব্য চালু নেই