দিল্লি মসজিদের ইমামকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!

দিল্লি জামে মসজিদের ইমামকে আগুন পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। রোববার মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এ সময় তার দেহরক্ষীরা ছুটে এলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম কামালুদ্দিন ইলিয়াস কামাল। তিনি পশ্চিমবঙ্গের সাউথ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হামলার কারণ এবং এর পিছনে আরো কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, রোববার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ মাগরিবের নামাজ আদায়ের জন্য জামে মসজিদে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার মুসল্লি। নামাজে পড়ানোর আগে মসজিদ প্রাঙ্গনে হাঁটাহাঁটি করছিলেন ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি। এ সময় ওই হামলাকারী তার সঙ্গে দেখা করে করমর্দন করেন। বুখারি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান,‘ওই ব্যাক্তির পরনে ছিল সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার। তার পোশাক আশাক দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি নামাজ পরতে আসেননি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইমাম এবং মুসল্লিরা নামাজে দাঁড়ানোর পর হামলাকারী তার পকেট থেকে তিনশ মিলিলিটারের একটি বোতল বের করে ইমামের দিকে কেরোসিন ছুঁড়ে মারেন। এরপর লাইটার বের করে সেটি দিয়ে তার গায়ে আগুন ধরানোরও চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি লাইটারে আগুন জ্বালাতে ব্যর্থ হন। ইতিমধ্যে ইমামের প্রহরীরাও ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলে। এ প্রসঙ্গে ইমাম বুখারি বলেন,‘এর মধ্যেই আমি নামাজ চালিয়ে যেতে থাকি। কেননা আমার ভয় হচ্ছি, আমি নামাজ ছেড়ে দিলে উপস্থিত লোকজন তাকে মারধোর শুরু করবে।’
ইমামের দেহরক্ষীরা পরে হামলাকারীকে মসজিদ থেকে সরিয়ে নেয় এবং পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এ ঘটনার পর দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ইমামের নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানান হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই