দিল্লির এক ক্রিকেটারকে পিটিয়ে হত্যা
ভারতের রাজধানী দিল্লি যেন সন্ত্রাসের এক জনপদ। সন্ত্রাসীরা দিনে-দুপুরে প্রকাশে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করলেও যেন কারও বলার কিছু থাকে না। স্থানীয় পুলিশ এদের সম্পর্কে নির্বিকার। সর্বশেষ সন্ত্রাসী গোষ্ঠির হাতে প্রাণ দিল দিল্লির এক অ্যামেচার ক্রিকেটার। প্রকাশ্যে রাস্তায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। দিল্লি শহরের মধ্যেই। স্কুল পড়ুয়া ওই ছেলেটির নাম জানা যায়নি। তবে এ বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল তার। দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকতো। ভারতীয় মিডিয়ার খবর, ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটির সঙ্গে গত ১২ জুলাই খেলার মাঠে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ছেলেটির। ওই সময়ই তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
১৭ জুলাই আবারও ছেলেটি তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায় মাঠে। যাওয়ার আগে মাকে বলে গিয়েছিল, খুব দ্রুতই ঘরে ফিরবে সে। কিন্তু ফিরলো লাশ হয়ে। ওইদিন খেলার মাঠেই সন্ত্রাসীরা তাকে আক্রমণ করে। বাঁচার জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ছেলেটি এবং একটি বাসে গিয়ে ওঠে। সন্ত্রাসীরা ওই বাসে গিয়েই ছেলেটিকে ধরে ফেলে এবং বাস থেকে নামিয়ে এনে হকি স্টিক, রড দিয়ে পেটাতে থাকে। শুধু তাই নয়, পাথর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেয় সন্ত্রাসীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর বুধবার এসে মারা যায় সে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, নিহতের পরিবারের দাবি অন্তত ৮ থেকে ১০জন সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছিল ঘটনার সময়। বাকিদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও রাস্তা অবরোধ করে নিহতের পরিবার এবং এলাকার মানুষ।
দিল্লিতে প্রায়ই সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে। কিন্তু পুলিশ সব সময়ই এ নিয়ে নির্বিকার। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকলেও সন্ত্রাসীদের প্রতি কোনভাবেই খড়গহস্ত হতে দেখা যায় না প্রশাসনকে। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে-বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হয় না। যে কারণে, হু হু করে বাড়ছে এ ধরনের মারাত্মক অপরাধ।
মন্তব্য চালু নেই