দিনে ২৫টির বেশি সিগারেট খেলে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন আপনি
ফুসফুসের ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ ধূমপান। বলা হয়, ৮৫ শতাংশ ফুসফুসের ক্যানসার ধূমপানের জন্য হয়ে থাকে। যাঁরা দিনে ২৫টির বেশি সিগারেট খান, তাঁদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বেশি থাকে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত দ্রব্যও ফুসফুসের ক্যানসার তৈরি করতে পারে। তামাকের মধ্যে রয়েছে ৬০টি বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান, যেগুলো ক্যানসার হওয়ার জন্য দায়ী। এই উপাদানগুলোকে কারসিনোজেন বলে।
তবে কেবল ধূমপানই নয়, ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার পেছনে আরো কিছু কারণ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি এবং এনএইচএস চয়েজ জানিয়েছে এ বিষয়ে কিছু তথ্য।
পরোক্ষ ধূমপান
ধূমপান না করলেও ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কীভাবে? গবেষণায় বলা হয়, অধূমপায়ী নারী, যাঁদের সঙ্গী ধূমপান করেন, তাঁদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
শিল্পকারখানার দূষণ
শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের কারণে ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। এই রাসায়নিক পদার্থগুলো হলো আর্সেনিক, অ্যাসবেসটোস, ক্যাডমিয়াম, ব্যারিলিয়াম, কোয়াল অ্যান্ড কোক ফিউমস, সিলিকা, নিকেল ইত্যাদি।
এসবের সংস্পর্শে এলে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া গবেষকরা বলেন, ডিজেলের ধোঁয়ার মধ্যে বহু বছর ধরে থাকলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।
পরিবেশদূষণ
যানবাহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দূষণ—এগুলো ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বায়ুদূষণের কারণেও ফুসফুসে ক্যানসার হয়। যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে বায়ুদূষণের মধ্যে থাকেন, তাঁদের ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
মন্তব্য চালু নেই