দিনে কত কাপের বেশি চা খাওয়া উচিত নয়?

যারা চা একেবারেই পছন্দ করেন না, তারাও দিনে অন্তত এক-দুইবার চায়ের কাপে চুমুক দেন। কিন্তু যারা রীতিমতো চা-প্রেমী তাদের দিনে কত কাপ চা খাওয়া উচিত? কিংবা তাদের কত কাপ চায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত? সামাজিকভাবেই হোক বা চায়ের রাসায়নিক বিক্রিয়ার দিক থেকেই হোক, এ প্রশ্নের জবাব নেই।

এর উত্তর বের করতে বিস্তারিত গবেষণা হয়নি। তবে ছোট পরিসরের কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ৪-৬ কাপের মধ্যে নিয়মটা বেঁধে ফেলা দরকার।
তবে কত কাপ খাবেন তার অনেকটাই নির্ভর করে যার যার দৈহিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। চায়ে বেশ কয়েক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এ ছাড়া আপনার দেহ কি পরিমাণ ফ্লুরাইড এবং ক্যাফেইন গ্রহণ করতে সক্ষম তার ওপরও নির্ভর করে বিষয়টি।

যদি আপনার দেহ ফ্লুরাইড গ্রহণ করতে সক্ষশ থাকে, তবে খোলা চা অনেক খেতে পারবেন। কিন্তু টিব্যাগ বা ইনস্ট্যান্ট মিক্স চায়ের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।

২০১৩ সালে কয়েকটি গবেষণা বিশ্লেষণ করে বলা হয়, গ্রিন টি কয়েক ধরনের হৃদরোগ নিরাময়ে কাজ করে। এ ছাড়া হার্ট ফেইলুওর বা উচ্চরক্তচাপ সামলাতেও কাজ করে গ্রিন টি। আলঝেইমার্স ডিজিস সংশ্লিষ্ট প্লাক সৃষ্টিতেই বাধা দেয় এই চা।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের এক গবেষণায় বলা হয়, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় বিশেষ করে গ্রিন টি উপকারী ভূমিকা পালন করে।

অন্য আরক গবেষণায় বলা হয়, দিনে অন্তত ৩ কাপ চা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে ৪.৬ শতাংশ।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলস এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি গবেষক ড. জুও ফেং ঝ্যাং প্রতিদিন ২-৩ কাপ চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

গ্রিন টি খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপকারিতা মিলবে। এখানে জেনে নিন কিছু উপকারিতার কথা।

১. ইঁদুরকে গ্রিন টি খাইয়ে দেখা গিয়েছে, তাদের ওজন কমছে এবং দেহে চর্বি কম জমছে।

২. লিভারে চর্বি জমলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্থূলতার জিন রয়েছে এমন ইঁদুরকে গ্রিন টি এর নির্যাস খাইয়ে দেখা গেছে, তাদের লিভারে চর্বি জমার হার কমে এসেছে।

৩. কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে আসে গ্রিন টি পান করলে। যারা স্থূলকায় তাদের দেহে এসব প্রচুর পরিমাণে থাকে।

যাদের খুব বেশি চা না হলে দিন চলে না, তাদের জন্য গবেষকরা দিনে ১০ কাপের বেশি চা না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। এখানেই লাগাম টানতে হবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস



মন্তব্য চালু নেই