দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর কিছু খবর (১৪/১০/১৪)

মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ড, বাড়ছে সড়কে দুর্ঘটনা:
দিনাজপুরের গুরুত্বপুর্ণ উপজেলা ফুলবাড়ী এই উপজেলার সাথে ৫ টি উপজেলা জেলা ও ঢাকার যোগাযোগ। ফুলবাড়ী পৌরশহরের মধ্যে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ড। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়কে দুর্ঘটনা!! মহাড়সকে দোকানপাট ও মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ড গড়ে উঠায় মহাসড়ক দু’ধারে রাস্তার জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় দিনে দিনে দুর্ঘটনা বাড়ছে। রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় পথচারীদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে রাস্তায় অহরহ ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা। দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন। প্রতিদিন শহরে দূঘটনায় কেউ নিহত ও কেউ আহত হচ্ছে। গত এক বছরে ফুলবাড়ী শহরে পাকা রাস্তায় সড়ক দূঘটনায় প্রায় ১৭ জনের মৃত্যু ঘটে । আহত হয় প্রায় ৫০ জন । এদের মধ্যে অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছে। দিনাজপুর ফুলবাড়ীর মহাসড়কের প্রেট্রোল পাম থেকে ঢাকা মোড় পর্যন্ত প্রায় ০২ কিলো রাস্তার দুই ধারে জায়গা দখল হয়ে গেছে। যেমন, হাসপাতাল মোড়, ফুলবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড মোড়, কলেজ মোড়, উর্বশী সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা, মন্ত্রীর বাড়ী সংলগ্ন এলাকা, নিমতলা মোড়, পৌরসভা ভবন এলাকা, ঢাকা মোড় এলাকা, সহ মহাসড়কের দুই ধারের জায়গা গুলি দখল হয়ে গেছে। স্থানীয় জায়গায় মালিকেরা সড়ক ও জনপথের জায়গার উপরে চায়ের দোকান, ফলের দোকান এবং নানা রকম দোকান পাট বসিয়ে ভাড়া দিয়েছে। দূর পাল্লার যান বাহন গুলি একে অপরকে কাটিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। প্রতিদিন যানজট লেগে থাকছে। এমনকি যানজটের মধ্যে এ্যাবুলেন্স ও আটকা পড়ছে। তারাও যানজট থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকলেও তারা এসব বিষয়ে মাথা ঘামাতে আসেন না। জানা গেছে, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ ৪০ কিলোমিটার এর আওতায় অবৈধ্য দখলদারদের বিরুদ্ধে দপ্তর থেকে নোটিশ প্রদান করলেও সেই নোটিশ অবৈধ্য দখলদারেরা পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে তারা বেপরওয়া হয়ে দিনের পর দিন তাদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। এদিকে ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মূতূজা সরকার মানিক, পৌরসভার নির্বাচনে জনগনের ভোট নিয়ে দায়িত্ব পেলেও তিনি ফুলবাড়ী শহরের অবৈধ ভাবে রাস্তার জায়গা দখল হচ্ছে, যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেদিকে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারন, আগামী দিনে তিনি আবারও পৌর নির্বাচন করবেন এ কারণে ফুলবাড়ী পৌর শহরের কে কোথায় কি করছে সেদিকে তার কোন দৃষ্টি নেই। জনস্বার্থে পৌর কতৃপক্ষের ফুলবাড়ী শহরের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ এখনি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে দিনের পর দিন তাদের জায়গা দখল হয়ে যাবে দূঘটনা বাড়তেই থাকবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিভিন্ন মহল অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আর্ন্তজাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন:
দূর্যোগে মোরা নই দিশাহীন সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ প্রবীণ জীবনব্যাপী সক্ষমতা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে উপজেলা চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম রওশন কবির, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুর রহমান, ফুলবাড়ী এডিপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার লালঠুয়াই বম, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আফছার আলী, প্রকল্প কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, সমবায় অফিসার আব্দুর রউফ, বরেন্দ্র কর্মকর্তা আজমল হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।

সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস অনিয়ম যেখানে নিয়ম:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস যেখানে অনিয়মে হয়েছে নিয়ম। প্রতি ১০০টি দলিলের মধ্যে ১০ ভাগ দলিল রেজিষ্ট্রী হয় ভূয়া খারিজ পর্চা দিয়ে। এতে করে কতিপয় অসাধু দলিল লেখক ও সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হলেও প্রতারিত হচ্ছে ভূমি ক্রেতাগণ। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের একাদিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ভূমি হস্তান্তর আইন অনুসারে জমি হস্তান্তর দলিল রেজিষ্ট্রী করতে হাল সনের খাজনা পরিশোধের রশিদসহ ক্রেতার নামে জমা খারিজের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কতিপয় অসাধু দলিল লেখক সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের অসাধু কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজ করে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ভূয়া জমা খারিজ ও ভূয়া খাজনা রশিদ তৈরি করে দেধারচ্ছে চালাচ্ছে দলিল রেজিষ্ট্রীর কাজ।
কয়েক জন প্রবীণ দলিল লেখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন কিছু দলিল লেখক রয়েছে তারা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভূয়া জমা খারিজ দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ। তারা অভিযোগ করে বলেন, সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে কর্মরত কয়েক জন দলিল লেখক নিজেরাই সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র সীল সহি জাল করে নিজেরাই তৈরি করছে ভূয়া জমা খারিজের পর্চা, ডিসিআর ও ভূয়া খাজনা পরিশোধের রশিদ। দলিল লেখক আবু তাহের ও মনছুর আলী মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তাদের এক পরিচিত আত্মীয় বিনা খারিজে জমি রেজিষ্ট্রী করতে আসায় তারা ফিরে দিয়েছিল। কিন্তু পরক্ষনে দেখা গেছে, তাদের ফিরিয়ে দেয়া ওই ভূমি মালিকের দলিলটি জনৈক এক দলিল লেখক ভূয়া খারিজ দিয়েই দলিল রেজিষ্ট্রীর কাজ সম্পূর্ণ করেছে। তারা এই ঘটনা দেখে হতবাগ হয়েছেন। একই অভিযোগ করেন দলিল লেখক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নজমুল হক নাজিম।
তবে এ বিষয়ে ফুলবাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রার তাপস কুমার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি তার সঙ্গে যোগসাজের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার জনবল সংকট তাই ভূয়া খারিজ সনাক্ত করা সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি ভূমি ক্রেতাগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
ফুলবাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম রওশন কবির বলেন, ফুলবাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের একটি জালিয়াতকারী চক্র ভূয়া সীল সহি জাল করে ভূয়া খারিজ পর্চা, ডিসিআর, খাজনার দাখিলাসহ রেকর্ডের জাবেদা কপি ও জাল দলিল তৈরি করছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভূমি মালিকানাধীন জটিলতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিনি ঐ চক্রটিকে ধরার জন্য আইনী পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে ভূয়া খারিজ পর্চা দিয়ে জমি রেজিষ্ট্রী হলেও ঐ দলিল দিয়ে আর পুনরায় ভূমি জমা খারিজ করতে না পেরে পদে পদে ঘুরছেন প্রতারিত হওয়া ঐ সকল ভূমি মালিকগণ। তারা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে পাথর উৎপাদন শুরু, তৃতীয় শিফট চালু:
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে তৃতীয় শিফট চালুর মাধ্যমে পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত শনিবার সকাল থেকে তিন শিফটে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে দিন প্রতি এ হার ৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। এর আগে গত শুক্রবার সকালে তৃতীয় শিফট চালুর মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) উৎপাদনে যায়। গত ৭ বছর ধরে খনিটি পরিচালনা করেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। যেখানে প্রতিদিন এক শিফটে গড়ে ১ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হতো। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি খনি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের ৮ মাসের মাথায় পাথর উত্তোলন ৪ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবুল ফজল মো. নাজমুল আহসান হায়দার বলেন, ৭ বছর ধরে খনিটি পরিচালনা করে আমরা যেখানে প্রতিদিন এক শিফটের বেশি চালু করতে পারিনি। সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন শিফট চালু করে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু করেছে। বর্তমানে আগের চেয়ে তিন গুন উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যাহা মধ্যপাড়া খনির জন্য এটি একটি মাইলফলক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২৫ মে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন শিফটে ৫হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক শিফটে গড়ে ১হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এভাবে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ বছরে খনিটি লোকসান দিয়েছে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা। এ অবস্থায় ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ১হাজার ৪০০ কোটি টাকায় ৬ বছরের জন্য খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোসট্রয় (JSC Trest Soktostroy) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেডকে (Germania Corporetion Ltd.) নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি) (Germania Trest Consortium-GTC) জিটিসি চলতি বছরের ২০ফেব্র“য়ারি খনি পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে এবং ২৪ ফেব্র“য়ারি উৎপাদন শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে এক শিফটে পাথর উৎপাদন শুরু করে এবং ১৭ মে থেকে দ্বিতীয় শিফট চালুর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র আট মাসের মধ্যে জিটিসি গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর/১৪) থেকে তৃতীয় শিফট চালু করে। প্রথম দিনে তিন শিফটে (গত শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে আজ রবিবার বিকেল পর্যন্ত) উত্তোলন করা হয় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর। ক্রমান্নয়ে তা ৪ হাজারে উন্নীত করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা-বিকেল ৩টা প্রথম শিফট, বিকেল ৩টা-রাত ১১টা দ্বিতীয় শিফট এবং রাত ১১টা-সকাল ৭টা পর্যন্ত তৃতীয় শিফট পরিচালিত হবে। জিটিসি ৪৯০ জন শ্রমিক দিয়ে তিনটি শিফট পরিচালনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ মাত্রায় পাথর উত্তোলন শুরু করেছে। অথচ জিটিসি দায়িত্ব গ্রহণের আগে পেট্রোবাংলা ৩০৮ জন শ্রমিক দিয়ে এক শিফট পরিচালনা করে তৃতীয় শিফট চালুর মাধ্যমে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু তিন দিন উত্তোলন করতো গড়ে এক হাজার মেট্রিক টন পাথর। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসির প্রতিনিধি ও জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডক্টর সিরাজুল ইসলাম কাজী মধ্যপাড়া শিলা খনিকে দেশের মডেল খনি হিসেবে গড়ে তোলা এবং এটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে বেলারুশের একদল দক্ষ খনি বিশেষজ্ঞ দ্বারা খনিটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

ভারতীয় মালামালসহ ১জন আটক:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত শনিবার বিকেলে পৌর শহরের তেঁতুলিয়া মোড় নামক স্থানে ওৎ পেতে থেকে ভারতীয় মালামালসহ ১জনকে আটক করেছে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি’র টহল দল।
আটককৃত চোরাকারবারী দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে মুশফিকুর রহমান (৩২)। এ বিষয়ে ওই দিন রাতে ২৯ বিজিবি’র হাবিলদার সাদিকুর রহমান বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় চোরাচালান বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে ধৃত চোরাকারবারীকে সোপর্দ করেছে।
২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে ২৯ বিজিবি’র হাবিলদার সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি টহল দল ফুলবাড়ী পৌর এলাকার তেঁতুলিয়া মোড় নামক স্থানে ওৎ পেতে থেকে রংপুরগামী ১টি মোটর সাইকেল আটক করে তল্লাশী চালিয়ে ২৫৮ গজ থান কাপড়, ৩৮০৪ জোড়া ভারতীয় নুপুর, ৭টি শাড়ী ও ১টি মোটর সাইকেলসহ মোটর সাইকেল আরোহী মুশফিকুরকে আটক করে। পরে ধৃত মুশফিকুরকে ফুলবাড়ী থানায় সোর্পদ করে চোরাচালান বিরোধী ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

১০০ লিটার দেশী মদ জব্দ:
ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাসুদেবপুর আবাসন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ জব্দ করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
ফুলবাড়ী থানার ওসি এবিএম রেজাউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় থানার এসআই আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে ১ দল পুলিশ, উপজেলার বাসুদেবপুর আবাসন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ জব্দ করেছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁ ঢাকা দেয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই