ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশে আ.লীগ ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘ধর্মনিপেক্ষতা আওয়ামী লীগের মুখোশ। তারা ধর্মনিরপেক্ষ নয়, ধর্মহীনতায় বিশ্বাস করে। তারা নিজ ধর্মসহ অন্যধর্মের উপর আঘাত করে।

মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন।

বিএনপি সব ধর্মের মানুষের ওপর সমান শ্রদ্ধা রাখে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। অনেকে আছে, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। কিন্তু এটা তাদের লোক দেখানো।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোনো দলীয় সরকার গঠন হবে না। সেই সরকার হবে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনগণের সরকার। সেই সরকারের কর্মকাণ্ড আশপাশে ছড়িয়ে দিয়ে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। বাংলাদেশ একটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা এই দেশকে একসঙ্গে গড়ে তুলবো। বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের হাতে এই দেশ নিরাপদ নয়। এই অবৈধ অত্যাচারী সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আসুন খুনি, অত্যাচারী, অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাই। সুন্দর দেশ গড়ে তুলি। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।

হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন বলেন, দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। তা আশপাশে সকল অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে চাই, যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে আছি।

স্বাধীনতার পর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি দখল করা হয়েছে -এমন অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, এখনো জবরদখল করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এগুলো করে তার দায় বিএনপির উপর চাপাচ্ছে।

প্রতিনিয়তই হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে তার কাছে এমন অভিযোগ আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এর (নির্যাতন) সঙ্গে কারা জড়িত? যারা জবরদখল করে ক্ষমতায় আছে। এর আগেও স্বাধীনতা পরবর্তীতে আপনাদের মন্দির ও সম্পত্তি দখল তারাই করেছে। রমনা কালিমন্দিরও গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। আমার সরকার আপনাদের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা আপনাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

বিশ্বজিৎ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ জড়িত দাবি করে বেগম জিয়া বলেন, নারায়াণগঞ্জের ৭ খুন চন্দন সরকার দেখে ফেলায় ক্ষমতাসীনরা তাকেও হত্যা করেছে।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, শ্রীমতি অপর্ণা রায় দাস, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, অমলেন্দ্র দাস অপু, দেবাশীষ রায় মধু, তরুণ দে, রমেশ দত্ত, নকুল চন্দ্র সাহা, বিজন সরকার, প্রদীপ বসু, বিজন সরকার, বাবু শ্যামল চন্দ্র হোড়, মনীদ্র নাথ ঘোষ প্রমুখ।

হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইশকনের নেতাদের মধ্যে শ্রীমান সুমুখ গৌরাঙ্গ দাস, মাধব মুরারী দাস ব্রহ্মচারী, সুমুখ গৌরাঙ্গ দাস, নিত্যানন্দ কিশোর দাস, দয়ানিধি দাস ব্রহ্মচারী, সাধুসন্য কুমার দাস, পুরোহিতদের মধ্যে রামকৃঞ্চ আশ্রম মঠের স্বামী গুরু সেবানন্দ মহারাজ, মৃদুল মহারাজ, তাঁতী বাজার আশ্রমের স্বামী দিব্য আনন্দ মহারাজ, জগন্নাথ দেবের মাসীর বাড়ির আশ্রমের শ্রী শ্যামসুন্দর দাস বাবাজী, ইশকন মন্দিরের বাসুদেব মুন্সী খোকা, শ্রী নন্দ দুলাল ব্রম্মচারী, গোপাল কৃঞ্চ দে, দেবাশীষ পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই