আপিল খারিজ, বন্ধই থাকছে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়
সনদ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দারুল ইহসান কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম। শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অনিয়মের দায়ে হাইকোর্ট দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন। আজ আপিল বিভাগ সেটি বহাল রেখেছেন। যারা সার্টিফিকেট বাণিজ্য করছে, হাইকোর্টের এ আদেশ তাদের জন্য একটি বার্তা।
গত বছরের ২৫ জুলাই দারুল ইহসানের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ২০০৬ সালের পর দারুল ইহসানের সব সার্টিফিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে। পরের দিন ২৬ জুলাই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিপূরণ চাইলে সরকার সহায়তা করবে। শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে।
সে সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাসসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্য সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাসগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই