দাওলাতুল ইসলাম ব্যানারে ১১ হামলা!
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে আটক জেএমবি সদস্যরা নিজেদের ‘দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ’-এর সদস্য বলে দাবি করেছে। আর এই দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ১১টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে গুলশানে হলি আর্টিজান রোস্তোরাঁ, শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠের পাশে এবং মাদারীপুরে কলেজশিক্ষকের ওপর হামলাও রয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার দুপুরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ছাড়া র্যাবের অনলাইন মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও বক্তব্য দেওয়া হয়। তবে ১১ হামলার বিস্তারিত তথ্য নেই।
র্যাবের ওই ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, “আপনারা জানেন ‘আত-তামকীন’ জেএমবি কর্তৃক পরিচালিত একটি জঙ্গি ওয়েবসাইট। এ দেশীয় জঙ্গিরা তাদের বিভিন্ন জঙ্গি হামলার সংবাদ ও ছবি ‘আত-তামকীন’ নামক একটি সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে। বিভিন্ন হামলা সংগঠনের পর অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হামলা সংক্রান্ত সংবাদ ও ছবি ‘আত-তামকীন’-এ আপলোড করে থাকে। এ ছাড়া এ সাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রচার-প্রসারের জন্য আইএস কর্তৃক সংগঠিত বিভিন্ন হামলার সংবাদ বাংলায় অনুবাদ করে নিয়মিতভাবে প্রচার করে থাকে। আইএসের বরাত দিয়ে দায় স্বীকারের উদ্দেশ্য মূলত প্রচার বেশি পাওয়া এবং ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা।”
ফেসবুক পেজে বলা হয়, জানা যায় যে, এবিটি (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) ও জেএমবির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বহীনতার কারণে তারা নিজেদের মধ্যে একরকমের সমঝোতায় আসে এবং ‘দাওলাতুল ইসলাম’-এর ব্যানারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ ক্ষেত্রে ‘আত-তামকীন’ এই সংগঠনের মিডিয়ার কাজ করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
র্যাব জানায়, অতিসম্প্রতি জেএমবির দুটি গ্রুপ দাওলাতুল ইসলামের ব্যানারে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় নাশকতা সংঘটিত করে এবং পরবর্তী সময়ে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব। র্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, জেএমবির এ রকম আরো বেশ কিছু গ্রুপ নাশকতার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে এবং যেকোনো স্থানে তারা নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। এই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ৪-এর একটি আভিযানিক দল গত ৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জাহিদ আনোয়ার ওরফে পরাগকে (২২) গ্রেপ্তার করে। পরাগের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোনাইল গ্রামে। পরে পরাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো দুটি অভিযান চালায় র্যাব। রাত ২টায় গাবতলীর আল-আরাফাত খাবার হোটেল থেকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রামভদ্রপুর গ্রামের মো. তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুল (২৯) ও জাহিদ হাসান ওরফে মাঈনকে (২১) গ্রেপ্তার করে। এরপর ভোর ৫টায় মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের উত্তর বিসিলের একটি ভাড়া বাসা থেকে দাওলাতুল ইসলামের মুখপাত্র ‘আত-তামকীন’ জঙ্গি সাইটের অ্যাডমিন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিফাত (২৭), মো. জিয়াবুল হক ওরফে জিয়া ও মো. নয়ন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সিফাতের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার খোন্তকাটা লক্ষ্মীপুর গ্রামে, জিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মজাহারদী গ্রামে আর নয়নের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার টেবিলা গ্রামে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এদের মধ্যে পাঁচজন জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। একজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের। এরই মধ্যে তারা আত্মঘাতী হামলার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাদের আমিরের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় নাশকতার জন্য অপেক্ষমাণ আছে। সমগ্র বাংলাদেশে এই জঙ্গিসংগঠনের স্লিপার সেলের বেশ কিছু সদস্য বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নাশকতার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছে।
অনুসন্ধানে এই দলে নারী সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে। তবে বাংলাদেশের এসব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের এখন পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
র্যাব জানায়, ‘আত-তামকীন’-এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কতগুলো গ্রুপে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে একটি গ্রুপ অনুবাদের কাজ করে, একটি গ্রুপ ফটোশপের কাজ করে, একটি গ্রুপ ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ এবং অবশিষ্ট গ্রুপ প্রচারের কাজে নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের পর পর আত-তামকীন আইএসের পক্ষে বাংলায় দায় স্বীকার করে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মূলত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। জেএমবির সদস্যরা নিজেদের ‘দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ’-এর সদস্য বলে দাবি করে। জানা যায়, দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশের সদস্য কর্তৃক এখন পর্যন্ত ১১টি হামলা পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে মাদারীপুরে শিক্ষকের ওপর সংগঠিত জঙ্গি হামলা অন্তর্ভুক্ত।
দাওয়াতের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ : র্যাবের ফেসবুক পেজে আরো বলা হয়, এই সব জঙ্গি সংগঠন প্রথমত দাওয়াতের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দাওয়াত দুই রকম হতে পারে। সরাসরি ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দাওয়াত অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেসবুক) দাওয়াত। দাওয়াত দেওয়ার আগে ওই ব্যক্তির মনোভাব যাচাই করা হয়। এটা হতে পারে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে অথবা ওই ব্যক্তির ফেসবুকে কোনো ধরনের পোস্ট পছন্দ করে তার ওপর ভিত্তি করে। প্রাথমিক যাচাই শেষে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। যদি ফেসবুকে পরিচয় হয়, তবে তাকে গ্রুপের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং গ্রুপে ইসলাম, জিহাদ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি দেওয়া হয় এবং সদস্যদের ওই তথ্যাদি অন্যান্য ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে করতে বলা হয়। যখন সদস্যরা সক্রিয়ভাবে এসব কাজে অংশগ্রহণ করে, তখন নেতৃস্থানীয় ভাইয়েরা তাদের সঙ্গে স্বশরীরে, ফোনে অথবা অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজনে এ সব লোকের জন্য আর্থিক সুবিধা এমনকি চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। সদস্যরা যখন এসব সক্রিয় অবস্থানে থাকে, তখন তাদের ফেসবুকের একটি গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই গ্রুপে অন্তর্ভুক্তির আগে সদস্যদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আকিদাগত তথ্য দিতে হয়। পরে ওই সব তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে সদস্যদের টেলিগ্রাম গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই গ্রুপে দ্বীন, জিহাদ ইত্যাদি সম্পর্কে ভিডিও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গ্রুপের সদস্যরা অডিও ক্লিপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তবে এখানে গ্রুপের সদস্যরা সব সময় একাধিক ছদ্মনাম ব্যবহার করেন এবং একজন অপরজনের পরিচয় সম্পর্কে জানেন না। গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা সদস্যদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন এবং যখন কোনো সদস্যকে অত্যন্ত বিশ্বস্ত মনে হয়, তখন তাকে আরেক গোপন গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যখন কোনো সদস্য জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তখন ওই সদস্যকে পর্যবেক্ষণে রেখে বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে আরেক গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে ওই সদস্যর সঙ্গে গ্রুপের আমির বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা যোগাযোগ করেন এবং তাকে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের ওপর নির্ভর করে তাকে আত্মঘাতী হামলার/জিহাদের জন্য মনোনীত করেন। এরপরই সে মিশনে বেরিয়ে পড়ে যাকে তারা হিজরত নামে অভিহিত করে। সে হিজরতে বেরিয়ে গেলেই আমিরসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মিশন শেষে সে নিরাপদে ফিরতে পারলে কিছুদিন পর পুনরায় দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
যেভাবে অর্থ আসে : সাধারণত তারা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে অথবা হিতাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে ইয়ানত (অর্থ) সংগ্রহ করে সংগঠন পরিচালনা করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে তারা তাদের আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়াটি ব্যাংক অথবা বিকাশের মাধ্যমে সম্পন্ন করে না। এ ক্ষেত্রে তারা নতুন পদ্ধতি যেমন-স্বর্ণ-চোরাকারবারি প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ করে। এর সুবিধা হলো যদি কেউ কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তবে তাকে জঙ্গি হিসেবে নয় চোরাকারবারি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া সহজ হয়। সাধারণত আমিরই তাদের আর্থিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন।
কলেজশিক্ষকের ওপর হামলায় অংশ নেয় তিনজন : মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষকের ওপর জঙ্গি হামলায় আবরার, নীরব ও ওসামা নামের তিন ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। প্রাপ্ততথ্য মতে, আবরার, ওসামা, আবদুর রহমান ও নীরব নামের ব্যক্তিসহ মোট চারজন ওই অপারেশনের জন্য সিলেটে একত্রে মিলিত হয় এবং জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ওসামা, আবরার ও নীরব সিলেটে অবস্থান করে। আবদুর রহমান বিশেষভাবে গ্রুপের আমির কর্তৃক নির্বাচিত হয় এবং ওসামা, আবরার ও নীরবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সুনির্দিষ্ট দিনে আবদুর রহমান ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বলে যে, সে সাদা প্যান্ট, সাদা শার্ট পরা অবস্থায় সিলেটে পৌঁছাবে। কথোপকথনের পর আবদুর রহমান মোবাইল বন্ধ করে দেয় এবং মোবাইল থেকে সিম কার্ডটি খুলে ফেলে। আবদুর রহমান বাসে করে সিলেটে পৌঁছায় এবং ওপরের তিন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা কোনো হোটেলে অবস্থান করেনি। ওই চার ব্যক্তি হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে এবং মাজারের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে সময় পার করে। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার খাতিরে আমিরের নির্দেশে আবদুর রহমানকে ওই অপারেশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তাকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আবদুর রহমানকে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরবর্তী হিজরতের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয় বলে র্যাবের ফেসবুক পেজে জানানো হয়।
র্যাব অনুসন্ধানে জানতে পারে, আবদুর রহমানের প্রকৃত নাম জিয়াবুল হক। সে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। পরে সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ঢাকায় আসে এবং পোশাক কারখানায় কাজ নেয়। সে আগে থেকে (আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান) জসিমউদ্দিন রহমানীর ভক্ত এবং জসিমউদ্দিন রহমানীর জিহাদি ভাষণ শুনে উদ্দীপ্ত। জিয়াবুল হক মোবাইল চালনায় অত্যন্ত দক্ষ। জানা যায়, সে যেকোনো কাজ একবার দেখিয়ে দিলে তা পারদর্শিতার সঙ্গে করতে সক্ষম।
আর নীরব ও ওসামা কলেজশিক্ষকের ওপর জঙ্গি হামলার পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, নীরব সিলেটে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী।
গত ১৫ জুন বিকেলে মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর ভাড়া বাসায় হামলা চালায় তিন দুর্বৃত্ত। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিম (২০) নামের এক যুবককে আটক করে থানায় সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায়। আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে থাকা অবস্থাতেই ১৮ জুন সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় সে।
কলেজশিক্ষকের ওপর হামলা ঘটনায় গত ৩০ জুন খালেদ সাইফুল্লাহ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ বলে দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। খালেদ সাইফুল্লাহ তিনি সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান কাজী বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
মন্তব্য চালু নেই